কথায় বলে প্রকৃতি চলে তার আপন খেয়ালে । প্রকৃতি কখন, কিভাবে, কোথায় প্রতিশোধ নেবে কেউ বলতে পারে না । উদাহরণ হিসেবে বর্তমান বছরের কথা বলা যেতে পারে । প্রকৃতির খেয়ালিপনায় উত্তরবঙ্গে জলে জলাকার । অপরদিকে দক্ষিণবঙ্গে মাটি অনেকটা জসীম উদ্দিনের নকশী কাঁথার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে । চাতক পাখির মতো আকাশে সাদা মেঘের ভেলার দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই দক্ষিণবঙ্গ বাসীর কাছে । পাশাপাশি অস্বস্তিকর গরম তো রয়েছেই ।
এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায় এ বছর আমন ধান চাষীরা বৃষ্টির অভাবে প্রচন্ড হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে । কারণ আমন ধান বৃষ্টির জলের উপর প্রধানত নির্ভর করে চাষ হয় । এই বছর বৃষ্টির এত ঘাটতি যে, আমন ধানের চারা জমিতেই শুকিয়ে যাচ্ছে । কিন্তু হঠাৎ করে খুশির খবর জানাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর । আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে বুধবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে নামতে চলেছে বৃষ্টি । আগামী তিন চারদিন ধরে সেই বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের মাটি ভেজাবে । বর্ধমান কে বলা হয় পশ্চিমবঙ্গের শস্য ভান্ডার । অথচ এই বছর এত কম বৃষ্টি হয়েছে সেখানে, সেই শস্য এর গোলা এবার ভরবে কি না, তা নিয়ে সকলেই ভাবছে ।
আলীপুর দপ্তরের খবর অনুযায়ী এবার পূর্ব বর্ধমানের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি আসতে চলেছে বুধবার । সাথে চলবে বজ্রপাতসহ ঝড় হাওয়া । শুধু পূর্ব বর্ধমান নয়, এই বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের উঁচু এলাকা গুলিসহ নদীয়া এবং বাঁকুড়ার মাটিও ভেজাবে । সুতরাং যারপরনাই আবহাওয়া দপ্তরের এই খবরে খুশি দক্ষিণবঙ্গবাসী ।