গত ৩১ আগস্ট আসামের প্রকাশিত নাগরিক পঞ্জিতে ১৯ লক্ষ লোকের বেশি নাম বাদ যায়। এ বাদের তালিকা নিয়ে ভারত সহ ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য এক অশনী সংকেত নিয়ে আসে। ১৯৪৭ সালে বিট্রিশ চলে যাওয়ার ফলে ভারত পাকিস্তান পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সৃষ্টিতে সীমান্ত বর্তী রাজ্য গুলোতে পাশ্ববর্তী দেশের নাগরিকদের আশ্রয় নেওয়া শুরু হয়। অনেকেই তার পছন্দ সই দেশে যাওয়ার জন্য অন্য দেশে থাকা সম্পদ রাতের অন্ধকারে বিক্রি করে চলে যায়। সে দেশে বিভিন্ন ভাবে কাগজপত্র তৈরি করে বসবাসের সাথে কাজ করতে থাকে।
বাংলাদেশ, ভারত বিশেষ করে বাংলাদেশের অনেক হিন্দু ভারতের আসাম, পশ্চিম বঙ্গে বসবাস শুরু করে। তেমনি ভারতের অনেক মুসলিম বাংলাদেশে আসে। যা ধারাবাহিক ভাবে চলতে থাকে। সেই চলায় আসাম আগুন ঢেলে দিল। আসামের এনআরসিতে নাম না থাকায় এক মহিলা গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন।
আত্মহত্যাকারী সাবিত্রী রায় আসামের হাইলাকান্দির স্টেশন রোড সংলগ্ন ১ নং ওয়ার্ডে বসবাস করতেন। এই আত্মহত্যা আসামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। জানা যায় হাইলাকান্দি ঐ মহিলার পরিবারের সকল সদস্যর নাম থাকলেও ঐ মহিলার নাম বাদ পড়ে। মহিলা ও তার পরিবার নাম বাদ পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারপরেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়। সাবিত্রী বয়বের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।