বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ একদিকে লাদাখে কূটনৈতিক জয়ের পর দক্ষিন চীন সাগরে ভারতের নৌবাহিনি মহড়া দিতে চলেছে, অপর দিকে ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) হাতে মোট ৩৭ টি অ্যাপাচে (Boeing) এবং চিনুক (Chinook) হেলিকপ্টার তুলে দিল বিমান নির্মাণ সংস্থা বোয়িং (Boeing)। এর মধ্যে ২২টি অ্যাপাচে ফাইটার হেলিকপ্টার ও ১৫ টি চিনুক হেলিকপ্টার ।
ভারতীয় বায়ু সেনার হাতে আরও এতগুলি অ্যাপাচে (Boeing) এবং চিনুক (Chinook) হেলিকপ্টার চলে আসায় সেনাবাহিনীর মনোবল বেড়ে গেল আরও কয়েকগুন । এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে মোট ১৭ টি দেশ অ্যাপাচে (Boeing) ব্যবহার করে, যার মধ্যে ভারত অন্যতম । অন্যদিকে সারা বিশ্বে শুধুমাত্র ১৮ টি দেশের হাতে রয়েছে চিনুক হেলিকপ্টার । এই অতি শক্তিশালী আরও ৩৭ টি অ্যাপাচে (Boeing) এবং চিনুক (Chinook) হেলিকপ্টার ভারতের ঝুলিতে যুক্ত হওয়ায় শত্রুদেশগুলি বিশেষ করে চীন চাপে পড়ে গেল ।
অ্যাপাচে (Boeing) ব্যবহার করে অ্যামেরিকার সেনাবাহিনীও। এই হেলিকপ্টার অ্যাপাচে গার্ডিয়ান নামেও পরিচিত। বিশ্বে সবচেয়ে লড়াকু সর্বাধুনিক অ্যাটাকিং হেলিকপ্টার হিসাবে খ্যাতি অ্যাপাচে (Boeing) র । এগুলির আছে চার ব্লেডের অ্যাটাকিং কপ্টার। যে কোনও আবহাওয়ায় হামলা চালাতে পারে এসব হেলিকপ্টার। শুধু তাই নয়, গাছের উচ্চতায় নেমে এসে লক্ষ্যবস্তুকে চোখের নিমেষে গুঁড়িয়ে দিয়ে চলে যেতে পারে অ্যাপাচে। লক্ষ্যে সরাসরি আঘাত হানতে এই হেলিকপ্টারে রয়েছে নাইট ভিশন সিস্টেম। রয়েছে ফায়ার কন্ট্রোল রাডার। ফলে দুর্গম এলাকায় দিনে হোক কিম্বা রাতে, আক্রমণ শানাতে কোন অসুবিধা হয় না ।
অন্য দিকে চিনুক (Chinook) হেলিকপ্টার মাত্র ১৮ টি দেশের সেনাবাহিনীর হাতে আছে । এর বিশেষত্ব হল, দশ হাজার কেজির বেশি সামগ্রী নিয়ে ঘণ্টায় ১৭৫ মাইল বেগে উড়তে পারে এই হেলিকপ্টার । লাদাখ কিম্বা অন্য যে কোন দুর্গম স্থানে চোখের নিমিষে যুদ্ধাস্ত্র, গাড়ি, রসদ সহ বিভিন্ন সামগ্রী এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বয়ে নিয়ে যেতে চিনুক হেলিকপ্টারের জুড়ি মেলা ভার।
এদিকে ভারতের সাথে দফায় দফায় আলোচনার পর বেশ খানিকটা পিছু হটেছে চিনা সেনা। এটাকে ভারতের কূটনৈতিক জয় হিসাবে দেখা হচ্ছে । তবে চীনা সেনা পিছনে হটলেও ভারত ফের বেজিংকে চাপে ফেলতে চাইছে । ইতিমধ্যে নয়াদিল্লী থেকে দক্ষিন চীন সাগরে ভারতের নৌসেনার যুদ্ধ জাহাজের মহড়া শুরু করার কথা চিন্তা করা হয়েছে । সেখানে ইতি মধ্যে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী টহল দিচ্ছে । ফলে । এবার লাদাখ সীমান্ত সংঘাতের আবহে আরও বেশি শক্তি সঞ্চয় করে বেজিংয়ের উপর চাপ বাড়ানোর নয়া কৌশল নিল ভারত।
বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে এখন যত রকমের যুদ্ধবিমান রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে সেরা সুখোই-৩০ মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ডাবল ইঞ্জিন মাল্টিরোল এয়ার সুপিরিয়রিটি ফাইটার জেটগুলির অন্যতম হল সুখোই। ২০০২ সাল থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে রয়েছে সুখোই ফাইটার জেট। বর্তমানে রাশিয়ার সুখোই এয়ারক্রাফ্ট আধুনিকীকরণের কাজ করছে ভারতের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)। কিছু দিন আগে শোনা গিয়েছিল রাশিয়া নাকি খুব কম সময়ের মধ্যে ভারতের হাতে সুখোই এসইউ-৩০ এবং মিগ-২৯ ফাইটার জেট তুলে দিতে প্রস্তুত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন উত্তেজনার মাঝে রাশিয়ার সঙ্গে এই চুক্তিতে স্বভাবতই স্নায়ুচাপ বাড়ছে চিনের। খুব শীঘ্রই সুখোই ও মিগ-২৯ ভারতে পাঠাবে হবে বলে জানিয়েছে মস্কো।