বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ একে করোনা সংক্রমণের ভয় । তার উপর বছরের এই সময় ডেঙ্গু মশার হাত থেকে বাঁচতে হিমশিম অবস্থা । কখনো স্প্রে করছেন, কখনো মশার ধূপ জ্বালিয়ে ধোঁয়ার মধ্যে বসে থাকতে হচ্ছে কিম্বা জীবাণুনাশকের ব্যবহার । কিন্তু ঘরের মশা তাড়াবার জন্য এত কিছুর দরকার হয় না । প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে এই পদ্ধতি । অথচ একবার যদি জানতে পারেন মশা তাড়াবার জন্য এই উপায় কতখানি কার্যকর তাহলে অবাক হতে বাধ্য ।
মশা তাড়াতে আমরা স্প্রে বা অন্য যে সব পদ্ধতি ব্যবহার করি তাতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে । বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী মহিলা কিম্বা হাঁপানির দোষ আছে এমন সকলের জন্য এই কেমিকেলগুলি ক্ষতিকর । অথচ মশা তাড়াবার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি বা প্রাকৃতিক উপায় আছে। যাতে একদিকে মশা তাড়ানো যাবে, অন্য দিকে কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকবে না ।
মশা তাড়াবার ঘরোয়া পদ্ধতিঃ
লবঙ্গ এবং লেবুর ব্যবহারঃ আমাদের প্রত্যেকের ঘরেই রয়েছে লবঙ্গ এবং লেবু । অথচ জানেন কি সামান্য এই উপাদান দিয়েই খুব সহজে ঘরের মশাকে তাড়ানো সম্ভব । কিভাবে ? প্রথমে একটি লেবু দুই টুকরা করে কেটে নিন। এর পর কাটা লেবুর ভেতরের অংশে বেশ কয়েকটা করে লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা গেঁথে শুধুমাত্র মাথার দিকের অংশ বাইরে রাখুন । এবার লবঙ্গ গাঁথা লেবুর টুকরাগুলো একটি প্লেটে রেখে ঘরের কোণায় রেখে দিন। ব্যস, এতেই বেশ কয়েকটা দিন মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই পদ্ধতিতে মশা ঘরের ধারেকাছে ঘেঁষবে না একেবারেই। আপনি চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতেও মশার ঘরে ঢোকার পথ বন্ধ হবে।
মশা তাড়াবার ঘরোয়া পদ্ধতিঃ
কর্পূরের ব্যবহারঃ আপনার পাড়ার দোকান কিম্বা যে কোন দশকর্মার দোকানে অনায়াসে পেয়ে যাবেন কর্পূর । এটি পুজার কাজেও লাগে । কিন্তু জানলে অবাক হবেন কর্পূরের গন্ধ মশা একেবারেই সহ্য করতে পারে না। এবার মশা তাড়াতে কর্পূর দিয়ে কি করতে হবে জেনে নিন ।
প্রথমে, একটি কর্পূরের টুকরা একটি ছোটো পাত্রতে রেখে সেটি জল দিয়ে পূর্ণ করুন।এর পর এটি ঘরের কোণে রেখে দিন। অল্প সময়ের মধ্যেই ঘর থেকে মশা গায়েব হয়ে যাবে। দু’দিন পর পাত্রের জল পরিবর্তন করুন। পাত্রে রাখা আগের জল ফেলে দেবেন না। এই জল আপনার ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করলে ঘরে পিঁপড়ের উপদ্রব থেকেও মুক্তি পাবেন।