বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: চিকিৎসক’রা হলেন সমাজের সবচেয়ে বড়ো বন্ধু। সমাজ এবং মানুষের জন্য তাঁদের অবদান আর যেকোনো পাঁচ জন সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেক অনেক গুণ বেশী। ছোটো-খাটো ব্যাধি থেকে শুরু করে অনেক সময় নির্ঘাত মৃত্যুর হাত থেকেও আমাদেরকে ফিরিয়ে আনতে পারেন চিকিৎসক’রাই। আর সেকারণেই সাধারণ মানুষ তাঁদেরকে ঈশ্বরের সাথে তুলনা করেন। তারাই আমাদের প্রকৃত রক্ষক; কিন্তু এই রক্ষকই যখন ভক্ষকের রূপ ধারণ করে, তখন মানুষ হয়ে পড়ে অসহায়।
এরকমই নির্লজ্জ দৃষ্টান্ত গড়লেন উত্তর ২৪ পরগণা’র বনগাঁ শহরের এক চিকিৎসক তপন বিশ্বাস। যে চিকিৎসকের উচিত নিজে রক্ষকের স্থান নিয়ে নেশাদ্রব্য থেকে তাঁর সকল রোগীকে দূরে রাখা, নেশার কুফল’গুলো তাদেরকে বোঝানো, অর্থের লোভে তিনি নিজেই শুরু করে দিয়েছিলেন নেশাদ্রব্যের ব্যবসা। আর নিজের শিকার বানিয়েছিলেন অসহায় রোগীদের’কেই।
বনগাঁ থানার পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা তপন বিশ্বাস। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, বৈধ ডিগ্রি বা লাইসেন্স না থাকা স্বত্বেও বহুকাল ধরে ওষুধ লেখা বা ওষুধ বিক্রি করেন তিনি। এলাকার স্থানীয় হাতুড়ে ডাক্তার হিসাবে যথেষ্ট নাম ছিলো তপন বিশ্বাসের।
সূত্রানুযায়ী, বিগত বেশ কিছুদিন যাবৎ একদল ছাত্র এবং যুবকের প্রতিনিয়ত যাতায়াত চলতে থাকে তপন বিশ্বাসের ডাক্তারখানায়। উল্লিখিত ছাত্র এবং যুবকেরা দিন দিন কেমন যেনো বদলে যেতে থাকে। এরপর ব্যাপারটি সন্দেহজনক মনে হয় স্থানীয় বাসিন্দা’দের। লক্ষ্য করে দেখা যায়, মুখে কোনও গন্ধ না থাকলেও সবসময় নেশায় বেহুঁশ অবস্থায় দেখা যেতে থাকে ওই সকল ছাত্র এবং যুবক’কে।
এরপর গত রবিবার সকালে সন্দেহজনক ভাবেই এলাকার কয়েকজন যুবক ওই চিকিৎসকের কাছে রোগী সেজে ঢোকে। তারপরই পর্দা ফাঁস হয় তাঁর। চিকিৎসককে ঘরে আটকে রেখে স্থানীয় থানা’য় খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ এসে ওই ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করে।
পুলিশি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, প্রচুর ফেন্সিডিল, কাফ সিরাপ সহ বিভিন্ন নেশার ওষুধ খুঁজে পাওয়া গেছে চিকিৎসকের ঘরে।