বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ চীনকে এই মুহূর্তে শুধু ভারত কেন, পাকিস্তানকে বাদ দিলে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশ বিশ্বাস করে না। এমনিতেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চিন কোণঠাসা, অন্য দিকে সীমান্ত নিয়ে একের পর এক দেশের সাথে বিবাদে লিপ্ত হতে দেখা গেছে চীনকে । ভারতের সাথে সম্পর্কের উন্নতির জন্য একদিকে একের পর বৈঠক করে চলেছে, অন্য দিকে সীমান্ত এলাকায় বাড়িয়ে চলেছে নিজেদের শক্তি ।
ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর এখনও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা বরাবর বেশ কয়েকটি এলাকায় অবস্থান করে রয়েছে চিনা সেনা। ইতিমধ্যেই ডেমচেকের কাছে স্থাপন করা হয়েছে ৫ জি নেটওয়ার্ক।প্যাংগং লেকে আরও বাড়ানো হচ্ছে নির্মাণ কাজ। অথচ ভারতের সাথে চীনের সীমান্ত সম্পর্কের উন্নতির জন্য একের পর এক দাবি করে চলেছে চিন। কূটনৈতিক স্তরে রীতিমত বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছে। কিন্তু সীমান্তে সম্পূর্ণ অন্যছবি ।
সম্প্রতি ভারতীয় গোয়েন্দাদের একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে । গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা লোগোয়া এলাকায় ৫জি নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে চিন। অগাস্টের প্রথম সপ্তহ থেকেই ডেমচেক সংলগ্ন এলাকায় ৫জি নেটওয়ার্ক চালুও করা হয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় স্যাটেলাইটে ধরা পড়েছে চিনা সেনা শিবিরের নির্মাণ কাজের ছবি ।
চীনকে বিশ্বাস করা কতখানি যুক্তিযুক্ত হবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে । ভারত-চিন সীমান্তের প্যাংগং লেক থেকে দুই পক্ষ সেনা সরানোর জন্য রাজি হয়েছিল । কিন্তু বাস্তবে স্যাটেলাইট চিত্র এবং গোয়েন্দাদের রিপোর্ট থেকে পরিষ্কার সীমান্তে চীনের নির্মাণ কাজের পরিধি আরও বেড়েছ। চিন যখন ভারতের সঙ্গে সেনা সরানো নিয়ে আলোচনা করছে তখনও প্যাংগং-এর ফিঙ্গার ফাইভ এলাকায় তৈরি হচ্ছে শিবির। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্টে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে শুধু ফিঙ্গার ফাইভ নয় ফিঙ্গার এইট পর্যন্ত এলাকায় লাল ফৌজ শক্তি বৃদ্ধি করেছে। একের পর এক অস্থায়ী শিবির তৈরি করেছে। বসানো হয়েছে সৌর প্যানেল আর রেডার। আনা হয়েছে বেশ কয়েকটি আধুনিক প্রযুক্তির নৌকা। যা প্রয়োজনে যুদ্ধের কাজে লাগতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনে।
এদিকে দক্ষিন চিন সাগরে আমেরিকার নজরদারী বিমান লক্ষ্য করে চিন দুটি অত্যাধুনিক মিসাইল ছুঁড়েছে । বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, চিন মিসাইল দুটি ছুঁড়েছে একদিকে আমেরিকাকে সতর্ক করার জন্য । কারন যে শক্তিশালী মিসাইল চীন ব্যবহার করেছে তা দিয়ে মার্কিন রণতরী ডুবিয়ে দেওয়া সম্ভব । ফলে দক্ষিন চীন সাগরে ফের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে ।