বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: ইংল্যান্ডে আসতে চলেছে বাঙ্গালী বিজ্ঞানীর ছবি সম্পলিত ৫০ পাউন্ডের নোট। আগামি ২০২০ সালে ইংল্যান্ডের বাজারে আসবে এই নোট। জানা যায় নোটে ছাপানো হবে বাঙ্গালী বিজ্ঞানীর জগদীশচন্দ্র বসুর মুখ। বাঙ্গালী বিজ্ঞানীর ছবি সম্বলিত পাউন্ডটি ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। প্রসঙ্গত ইংল্যান্ড এর আগেও বিজ্ঞানীদের ছবি দিয়ে নোট ছেপেছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড তার ওয়েবসাইটে জানায় ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত তারা ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মনোনয়ন পায়। এর মধ্যে প্রাথমিক বাছাই করা হয় ১ লাখ ১৪ হাজার।
বিশ্বের দরবারে বাঙ্গালী এই বিজ্ঞানী উদ্ভিদের প্রাণশক্তি, তার ছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা আবিষ্কারের জন্য পরিচিত। নামের প্রতি মোহহীন বিজ্ঞানী বেতার তরঙ্গ আবিষ্কার করলেও পেটেন্ট নেন নাই। কৃষি বিজ্ঞানেও যথেষ্ট অবদান ছিল তার। বিট্রিশ আমলে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। মূল বাড়ি ছিল বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে। পিতা ভগবান চন্দ্র বসু সরকারের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত ছিলেন। ইংরেজ সরকারের বড় পদে থাকলেও বাবা ছেলেকে ইংরেজি স্কুলে পড়াননি। বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর বাবা মনে করতেন এদেশীয় ছেলেমেয়েদের ইংরেজি ভাষার আগে মাতৃভাষা শেখা উচিত।
বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় কাজের পাশাপাশি তিনি দেশ বিদেশে বিজ্ঞান শিক্ষা বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে অংশগ্রহণ করেন। লিভারপুলে ব্রিটিশ অ্যাসেসিয়েশনের বক্তৃতায় ইউরোপের বিজ্ঞানীরা আশ্চার্য হয়। এখানে বৃদ্ধ বিজ্ঞানী লর্ড কেলভিন তার বক্তৃতা শোনার পর আশীর্বাদ করেন। বিজ্ঞানী নিউটনের সাথে তার খুব কাছের সম্পর্ক ছিল। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জগদীশচন্দ্র বসু সম্পর্কে বলেন, “ভারতের কোনও বৃদ্ধ ঋষির তরুণ মূর্তি তুমি হে আর্য আচার্য জগদীশ।“ বাঙ্গালী এই বিজ্ঞানী অনেকগুলো সম্মননা পেয়েছেন তার মধ্যে ১৯১৬ সালে নাইটহুড, ১৯২০ সালে রয়েল সোসাইটির ফেলো। এ ছাড়া বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন কমিটির সভাপতি, সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালের ২৩ নভেম্বর এই বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী মৃত্যু বরণ করেন। ১৯৫৮ সালে জগদীশ চন্দ্রের শততম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার “JBNSTS” নামে একটি বৃত্তি প্রদান আরম্ভ করেন।