অশান্ত জম্মু ও কাশ্মীর। সীমান্তে গোলাগুলি চলছে অহরহ। গোটা কাশ্মীর সীমান্ত জুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি। সেনা জওয়ান দের অনুমতি ব্যতীত একটা মাছিও গলতে পারছেনা। পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে দুদিন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জামাত-ই-ইসলামি জম্মু ও কাশ্মীর নিষিদ্ধ করার পর থেকে। তারপর থেকেই পুলিশি তৎপরতা আরও জোরদার হয়েছে উপত্যকায়।
শনিবার জম্মুর ৬টি জেলায় জোরদার তল্লাশি চালিয়ে জামাতের ৩জন শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রায় ১২টারও বেশী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এর পাশাপাশি বিপুল পরিমানে সন্দেহজনক নথি এবং সংগঠনের সাথে সম্পর্কযুক্ত অন্তত ৬টি ব্যাঙ্ক আকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
৩জন শীর্ষস্থানীয় জামাত নেতা হলেন- মহম্মদ মাজিদ শেখ, মহম্মদ ইকবাল নায়েক এবং গোলাম কাদির ভাট। এছাড়া সদ্য হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া অপর এক জামাত নেতা গোলাম নবি কান্দানা। এছাড়া জামাত পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বেআইনি কার্যকলাপ আইনের অধীনে ৫ বছরের জন্য জামাতকে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। গোটা উপত্যকা জুড়ে প্রায় ১৫০ জনেরও বেশী জামাত কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের সহ সভাপতি ওমর আব্দুল্লাহ বেজায় চটেছেন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে। সমাজে খারাপ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর মতে মসজিদ-স্কুল বন্ধ করে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো সম্ভব নয়। টুইট বার্তায় কেন্দ্রকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছেন। এছাড়াও কাশ্মীর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে সরাসরি বিরোধিতা প্রকাশ করেছে।