মহাকাশের বুকে আবারও নতুন রূপকথা লিখতে চলেছে ভারত। ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ISRO এই বছর’ই চাঁদে মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে। প্রথমে জানুয়ারি মাস’টা উৎক্ষেপণের সময় নির্ধারণ করা হলেও পরে সেটা পিছিয়ে ফেব্রুয়ারি’র শেষ দিকে ঠিক করা হয়েছে। সুতরাং, মহাকাশ গবেষণায় দ্বিতীয় বার চন্দ্রাভিযান চালিয়ে এক নতুন রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে ভারত।India’s Achievements In Space Technology

 

একজন ISRO আধিকারিকের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জানা গেছে, প্রজেক্ট’টি সম্পূর্ণ ভারতীয়। এমনকি মহাকাশযান’টিও পুরোপুরি ভারতীয় পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে। এই মহাকাশযান’টিতে থাকবে অরবিটার, ল্যাডার ও রোভার। বিভিন্ন ধরণের গবেষণামূলক কাজের জন্যই এই অভিযান। টি চাকা বিশিষ্ট যে রোভার’টি থাকছে, সেটি চাঁদের বুকে অনায়াসে চলাচল করতে পারে। চলাচলের সময় সেখানকার রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে চাঁদের কক্ষে ঘুরতে থাকা “চন্দ্রযান-২” এর মাধ্যমে সেই সকল তথ্য পৃথিবী’তে পাঠাবে।

 

পরিকল্পনা অনুযায়ী, চাঁদের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে “চন্দ্রযান-২” এর রোভারটি অরবিটার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এরপর ল্যাডার’টি ধীরে ধীরে চাঁদের পৃষ্ঠে নামবে। চাঁদের বুকে অবতরনের পর চাকা বিশিষ্ট রোভার’টি তার জন্য নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম অনুযায়ী কাজ শুরু করবে। মুলত এই চন্দ্রাভিযানের কাজ হলো চাঁদের আবহাওয়া, চাঁদের বুকের নানা ছবি ও তথ্য, খনিজ তথ্য প্রভৃতি বিশ্লেষণ করা।

২০০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী‘র সরকারের আমলে এই প্রকল্প শুরু হয়। ১৩০০ কেজি ওজনের রকেট’টি ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো চাঁদে পাঠায়। সারা পৃথিবীর মধ্যে চতুর্থতম দেশ হিসেবে নাম লেখায় ভারত। মহাকাশে বছর সময়সীমা থাকলেও মাত্র নয় মাস পরে চন্দ্রযান’টির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তা সত্ত্বেও সারা বিশ্ব ভারতের ISRO-র এই সাফল্যকে বাহবা জানায়। সেই সাফল্যের কথা মাথায় রেখে দ্বিতীয়বারের মতো সফল উৎক্ষেপণের পথে ভারত।India’s Achievements In Space Technology

Atanu Chakraborty is a content and news writer at BongDunia. He has completed his Bachelor Degree on Mass Communication from Rabindra Bharati University. He has worked with mainstream media, in the capacity of a reporter and copywriter.

Leave A Reply