হাওড়া জেলা আদালতের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কর্মীরা বুধবার সিভিক সদর দফতরে যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য লড়াইয়ে লিপ্ত হন। ঘটনাটি ঘটে মহাত্মা গান্ধী রোডে। ঘটনাটি এমন পর্যায় চলে যায় যে পাথর নিক্ষেপ করা হয় এবং পুলিশ লাঠি চার্জও করে। যার জেরে আহত হন ২০ জন। এদের মধ্যে সিভিক কর্মচারী রঞ্জীব হালদার, আশিষ ডিন্ডা ও আইনজীবী সুজন ভক্ত ও এস চক্রবর্তীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাওড়া মিউনিসিপালিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে সবার জন্য একটি ফ্রি পার্কিং ডাবল গ্রাউন্ড তৈরি করেন। যাতে লোকেরা যেখানে সেখানে গাড়ি পার্ক না করে যাতে ওই ফ্রি পার্কিং ডাবল গ্রাউন্ডটিতে কয়েক ঘন্টা ধরে তাদের যানবাহন পার্ক করে রাখেন।

staff_clash_in_Calcutta

বহিরাগতদের সচেতন করার জন্য ওই গ্রাউন্ডটির প্রত্যেক দরজার বাইরে একটি করে নোটিশ বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।এটি বিশেষত সিভিক কর্মচারীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। বুধবার সকালে একজন জানায় যে, এইচএমসি তিনটি গেটে রক্ষীরা সেখানে গাড়ি পার্কিং এর জন্য বাধা দেয়। সানহাটি বাজারের ব্যবসায়ী সুখচাঁদ সিং বলেন, প্রায় ১০.১৫ নাগাদ একটি রক্ষী বাহিনী একজন টোটোচালককে মারধোর করে। যারা এইচএমসি প্রাঙ্গনে গাড়ির পার্ক করার চেষ্টা করছিল।

এইচএমসি এর রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের বেশিরভাগ কর্মচারী অভিযোগ করেছে যে তাদের আইনজীবীরা একটি দল দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। অন্যদিকে, আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন যে সিকিউরিটি গার্ড তাদের বৃদ্ধ সহকর্মীকে অপমান করেছিল।

বিকাল ৫টার দিকে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এইচএমসি গ্রাউন্ডের ভেতর থেকে রাস্তার দিকে পাথর ছুঁড়ে মারা শুরু হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুলিশ ও আরএএফ লাঠিচার্জ শুরু করে। সিনিয়র অফিসারদের নেতৃত্বে পুলিশ আদালত প্রাঙ্গনে প্রবেশ করে, আইনজীবী ও সিভিক কর্মীদের মারধর করে এবং কাঁদুনে গ্যাস শেল গুলি চালানোর আগে টেবিল ও চেয়ার ফেলে দেয়।

এই ঘটনার পর পুলিশবাহিনী অবশেষে রাস্তাটি সাফ করে। এরপর এইচএমসি গেট খোলা হয় এবং কর্মীরা ধীরে ধীরে চলে যায়।

Payel Kumar is a News Writer at BongDunia. She has a little knowledge about journalism. She has worked with various news agencies in the previous years. She has done her graduation from West Bengal State University.

Leave A Reply