বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: গত ৫ই আগস্ট তারিখে ভারত সরকার কতৃক ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা’দুটি বাতিল করে দেওয়া হয়। ওই দিন রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভারতের রাষ্ট্রপতি কতৃক স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি পাঠ করার পরই জম্মু-কাশ্মীরে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। একারণে জম্মু ও কাশ্মীরের সকল রাজনৈতিক নেতা’দেরকে নজরবন্দী করে ভারতীয় প্রশাসন। এর পরপরই জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে ভারত সরকারের নামে কাশ্মীরে নির্যাতন এবং আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়ে অভিযোগ জানায় পাকিস্তান। এমনকি পাকিস্তানের পাশে দাড়িয়ে চিন’ও ভারত সরকারের বিরোধিতা করছিলো। কিন্তু তাতেও ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে বিন্দুমাত্র আঁচ পড়েনি।
বিবৃতি ঘোষণা করার আগে থেকেই ভারতীয় প্রশাসনের তরফ থেকে জম্মু-কাশ্মীরে কারফিউ জারি করা হয় এবং সেখানকার সমস্ত নেটওয়ার্কিং পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সময় থেকে ভারত সরকারের কাছে সবথেকে বড়ো চ্যালেঞ্জ ছিলো, জম্মু-কাশ্মীরের আভ্যন্তরীণ শান্তি বজায় রাখা। এই উদ্দেশ্যে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে অজিত ডোভাল’কে পাঠানো হয়েছিলো জম্মু-কাশ্মীরে, তিনি এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে অবস্থা স্বাভাবিক জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে বিভিন্ন সরকারি দফতর চালু করা হয়েছে। খুব দ্রুত সেখানকার ল্যান্ডলাইন পরিষেবাও চালু করে দেওয়া হবে বলে জানা যায়।
গত রবিবার ভারতীয় প্রশাসনের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়, সোমবার থেকেই জম্মু-কাশ্মীর এর শ্রীনগরের ১৯০টি প্রাইমারি স্কুল পুনরায় চালু করে দেওয়া হবে। সেই হিসাবে আজ থেকে পুনরায় স্কুল’গুলি চালু হচ্ছে।
এর পাশাপাশি উপত্যকায় বিভিন্ন বিধি-নিষেধ’ও শিথিল করে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এপ্রসঙ্গে শ্রীনগর জেলার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের মুখ্যসচিব রোহিত কানসাল সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত শনিবার কাশ্মীরের ৩৫টি পুলিশ স্টেশনে এবং রবিবার ৫০টি পুলিশ স্টেশনে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি আনন্দের সাথে বলেন যে, বিধিনিষেধ শিথিল করার পর এখনও পর্যন্ত কোনো জায়গা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।