বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী পিসি রায় ১৮৬১ সালের ২ আগস্ট পাইকগাছার কপোতাক্ষ নদের তীরে রাড়ুলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম হরিশ্চন্দ্র রায় ও মায়ের নাম ভুবনমোহিনী রায়। তিনি একাধারে ছিলেন শিক্ষাবিদ, শিল্পপতি, রসায়নবিদ, সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ, সমবায় আন্দোলনের পুরোধা।
বাংলার এই কৃতী সন্তানের জন্মদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে সাতক্ষিরা জেলা, উপজেলা প্রশাসন আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
ছেলেবেলা থেকেই পিসি রায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তার পড়াশোনা শুরু হয় তারই পিতার প্রতিষ্ঠিত এমই স্কুলে।
১৮৮৮ সালে ইউরোপের নানা দেশ ঘুরে প্রফুল্ল রায় দেশে ফিরে আসেন। সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন প্রেসিডেন্সি কলেজে।
পিসি রায় ১৮৯২ সালে কলকাতার মানিকতলায় মাত্র ৮০০ টাকা পুঁজি নিয়ে ‘বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল’ নামে ওষুধ শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯১৬ সালে তিনি বাগেরহাট পিসি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। যার কারণে আজ এ অঞ্চলের শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারছে।
পিসি রায়ের জন্মভূমি পাইকগাছায় হলেও তার জন্য শুধু তার গ্রামই ধন্য হয়নি বরং ভারতবর্ষের মানুষ তার জন্ম গৌরবে গৌরবান্বিত।
১৯৩০ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৩৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের মহীশুর ও বেনারস বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়।
১৯৪৪ সালের ১৬ জুন ৮৩ বছর বয়সে এই বিজ্ঞানীর জীবনাবসান ঘটে। জীবনাসনের পূর্বে চিরকুমার এই বিজ্ঞানী তার জীবনে অর্জিত সমস্ত সম্পদ মানবকল্যাণে দান করে গেছেন। আজ পিসি রায়ের জন্মবার্ষিকীতে বং দুনিয়ার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।