সোনার মূল্য সাধারণ থেকে বিত্তশালী সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে কতটা মূল্যবান তা সকলেরই জানা। সোনার দাম বাড়লে যেমন মানুষের হৃদকম্প বেড়ে যায় তেমনি সোনার দাম কমলে স্বস্তি পায় মানুষ। যে কোনো অনুষ্ঠানে নিজেরা সোনার অলঙ্কারে সাজা থেকে অন্যকে উপহার দেওয়া পর্যন্ত সব ক্ষেএেই সোনা অপরিহার্য।
স্বর্ণের উৎপাদন কমে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খবর প্রকাশ্যে এলেও স্বর্ণপ্রিয় মানুষরা তাতে বেশী গুরুত্ব দায়নি। তবে এবার হয়তো সত্যি সত্যি আসতে চলেছে সেই দিন , হয়তো পৃথীবি থেকে ফুরিয়ে যেতে চলেছে স্বর্ণ। নতুন বড় খনির সন্ধান না পাওয়ায় এমনই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
জার্মান-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, নতুন বড় কোনও খনির সন্ধান না পাওয়ায় প্রায় ৩০০০ টনই বর্তমানে সর্বচ্চো উৎপাদিত কয়লা। সাধারণত ৫০ লাখ আউন্স সোনা মজুত থাকলে খনি গুলকে বিশ্বমানের বলা যায়,কিন্তু বর্তমানে প্রাপ্ত খনিগুলিতে আড়াই লাখের বেশী সোনা পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে স্বর্ণ বিনিয়োগ কোম্পানিগুলি খনিতে বিনিয়োগের থেকে স্টক মার্কেট থেকে সোনা কেনা লাভ জনক বলে মনে করছে। যদিও অষ্ট্রেলিয়া, ক্যানাডা, যুক্তরাষ্ট্র উৎপাদনের ৪০ ভাগ খরচ বহন করে তবুও এখন খনিগুলো ইকুয়েডর, আফ্রিকার দিকে ঝুঁকছে।
তবে আশার কথা এই যে মনে করা হচ্ছে, বিশ্বের বাজারে বর্তমানে ১ লাখ ৯০ হাজার টন সোনা আছে, এবং বছরে উৎপাদিত হয় ৩ হাজার টন। তাই উৎপাদন কমে গেলেও আশঙ্কার কোনও কারন আপাতত নেই বলে জানা যাচ্ছে।