বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ সদ্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি । সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়ে দিল্লীর এই ব্যবসায়ী সকলকে বার্তা দিলেন করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কোন কারন নেই । কারন সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে করোনাভাইরাসের কবল থেকে ফিরে আসা সম্ভব ।
গত দুই সপ্তাহ ধরে আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন বছর ৪৫ বয়সের দিল্লীর ব্যবসায়ী । আতঙ্কের কারন করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি । গতকাল রবিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার পর সংবাদ মাধ্যমকে তিনি হাসপাতালের চিকিৎসা পদ্ধতি এবং পরিষেবার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি । সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, “আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এটা সাধারণ জ্বর ছাড়া অন্য কিছু নয়। যদি কোনও স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি ডাক্তারের কাছে যান তা হলে অসুবিধা নেই, আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বেশ ভাল, বিশ্বের অন্যতম সেরা। আইসোলেশন ওয়ার্ড মানে আলো-হাওয়া ছাড়া দুই বাই দুই কুঠুরি নয়।”
কিভাবে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন বা কি করে বুঝলেন তার করোনা সংক্রমণ হয়েছে ? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিজের বয়ানে জানান, ” ২৫ ফেব্রুয়ারি আমি ইউরোপ থেকে ফিরি। পরের দিনই জ্বরে পড়ি। আমি এতজন ডাক্তারের কাছে গেলে উনি বলেন যে গলায় ইনফেকশন হয়েছে। উনি আমাকে তিন দিনের ওষুধ দেন। আমি ২৮ তারিখে সেরে উঠি। ২৯ তারিখ আবার জ্বরে পড়ি। তখন আমি রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে যাই। ১ মার্চ দেখা যায় আমার করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে।সত্যি কথা বলতে কী যখন ওঁরা বললেন যে আমার করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে তখন খুবই চিন্তায় পড়ে যাই। পরের দিন একদল ডাক্তার আমাকে দেখতে এলেন সফদরজং হাসপাতালে । তাঁরাই আমাকে অভয় দিয়ে বললেন যে এই রোগ সেরে যায়। তাঁরা বললেন — আপনি স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি এবং এটি ঠান্ডা লাগা ও জ্বর ছাড়া অন্য কিছু নয়। সাধারণ জ্বর-সর্দিতে যে সময় লাগে এতে চার চেয়ে একটু বেশি সময় লাগে।”
চিকিৎসকদের অভয় দেওয়ায় কিছুটা আতঙ্ক মুক্ত হয়েছিলেন বলে জানান তিনি । সুস্থ হয়ে তিনি আরও জানান, “আমি কোনও ডাক্তার নই । তবে বলতে পারি যে সাধারণ জ্বর-সর্দির চেয়ে এটি আলাদা। আমি সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। দেশের সরকার এই হাসপাতালেই করোনা আক্রান্তদের রাখছে। এখানে পরিকাঠামো ও সুযোগসুবিধা খুবই ভাল। বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে তুলনা করেই বলছি যে এটা সেরা হাসপাতাল। আমাকে বাথরুম-সহ একটা আলাদা ঘর দেওয়া হয়েছিল।”