চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর। প্রাথমিকের পর এবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগেও আর বাধা রইল না। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সংরক্ষণ তালিকা অনুমোদন করল রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দফতরকে। শিক্ষক ও প্রধানশিক্ষিক মিলিয়ে ২২ হাজার।

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে বিপাকে রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অবশ্য জানিয়েছিলেন, ‘নতুন নিয়োগে কোনও বাধা নেই। পুজোর আগেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে’। এসএসসি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন তিনি। সিদ্ধান্ত  হয়, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ১৯ হাজার শূন্য শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। সেই তালিকায় এবার জুড়ল প্রধান শিক্ষকের পদ। কোন স্কুলে কোন ক্যাটেগরিতে কতগুলি পদ খালি? রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দফতরে সংরক্ষণের তালিকা পাঠিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেই তালিকা অনুমোদন করা হল। এবার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার অপেক্ষা।

এর আগে,  দুর্গাপজোর চতুর্থীর দিন শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। কারা আবেদন করতে পারবেন? এখনও পর্যন্ত যাঁরা টেট পাস করেছেন এবং যাঁদের বয়স চল্লিশের মধ্যে, যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, এমনকী ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষে যাঁরা প্রথম সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁরাও। ২১ অক্টোবর থেকে আবেদন জানানো যাবে।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ডেকে পাঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা (ED)। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কিংপিন ছিলেন মানিকই। তিনি যখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন  ৫৮ হাজার পদে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে! এমনকী, ধৃতের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিও পাওয়া গিয়েছে। কী লেখা রয়েছে সেই চিঠিতে? তদন্তকারীদের দাবি,  ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে,  ৪৪ জনের কাছ  থেকে চাকরির জন্য ৭ লক্ষ টাকা করে নিয়ে হয়েছে। কিন্তু এই চিঠিতে মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতেও এল কী করে?  তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

সুত্রঃ জি ২৪ ঘণ্টা

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.