বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ইরান-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে ফের আর একবার প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে । ইরানের জেলারেল কাসেম সোলেমানি মার্কিন হানায় মারা যাবার পর বেশ কয়েকবার ইরান আমেরিকাকে টার্গেট করেছিল । মাঝে দু’চারদিন একটু চুপ থাকলেও গতকাল বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে ফের রকেট হামলা হওয়ায় ফের জল্পনা শুরু হয়েছে । যদিও ইরান এই রকেট হামলা নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি ।
ইরান এবং মার্কিন সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে । এরপর ইরান বেশ কয়েকবার আমেরিকার উপর হামলা করায় অনেকেরই মনে ধারনা হতে শুরু করে, তাহলে কি এবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আবহ তৈরি হতে চলেছে ! সোমবারও বাগদাদের হাই সিকিউরিটি গ্রিন জোনে তিনটি রকেট আছড়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রকেট হামলার পরেই কান ফাটানো আওয়াজে বেজে ওঠে সাইরেন। আমেরিকার দাবি, ইরানই ফের রকেট ছুঁড়েছে। ইরান থেকে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে এই ঘটনা ঘিরে ফের উত্তেজনা শুরু হয়েছে ।
জেনারেল কাসেম সোলেমানি মারা যাবার ঠিক দুই দিন পর ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন সেনাঘাটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান । এই ঘটনার পর ইরান থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এই হামলায় ৮০ জন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে । তবে পেন্টাগন থেকে বলা হয়, এই হামলায় কোন সৈন্য মারা যায়নি । সব স্বাভাবিক আছে ।
আমেরিকার রকেট হানায় ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলেমানি মারা গিয়েছেন কয়েক সপ্তাহ আগে। তারপরে থেকে একাধিকবার ইরাকে মার্কিন দূতাবাসে আছড়ে পড়েছে ইরানের রকেট। তারপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্র্যাম্প ইরানকে হুশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, কাসেম হত্যার বদলা নিতে এলে তার ফল ভাল হবে না । পাশাপাশি, সারা বিশ্বের মধ্যে মার্কিন সেনাবাহিনী সবচেয়ে সুসজ্জিত এবং শক্তিশালী সেকথাও জানিয়ে দেন । তবে মার্কিন পক্ষ থেকে হামলা ঠেকাবার জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া ছিল ।
বিশ্বের অনেক দেশ বর্তমানে ইরানকে সাপোর্ট করছে । ফলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরও ঘোলা হচ্ছে । কাসেমের মৃত্যুর পর থেকেই গোটা উপসাগরীয় এলাকা উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে । ইরান ছাড়াও বিশ্বের বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করার দাবী জানানো হয়েছে । এমনকি শেষে কিছুদিন আগে ইরাকের সংসদেও প্রস্তাব পাশ করিয়ে বলা হয়েছিল যে তাদের দেশের মাটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এদিকে গতকালের রকেট হামলা নিয়ে কি পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি । আমেরিকা এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করলেও তেহরান থেকে এখনও পর্যন্ত কোন বিবৃতি দেওয়া হয়নি ।