বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ দেশ জুড়ে করোনা পরিস্থিতির কারনে প্রায় সকলেই লেবু খাচ্ছেন । এমনকি বিশেষজ্ঞরাও দৈনিক খাদ্য তালিকায় লেবুকে রাখতে বলেছেন । কারন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য লেবু, আমলকী প্রভৃতির জুড়ি মেলা ভার । অথচ জানেন কি প্রয়োজনের অতিরিক্ত লেবু খেলে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে আমাদের শরীরে !
লেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি । এছাড়াও লেবুতে আছে ভিটামিন B₁,B₂,B₃,B₅,Fe, K, Zn, কার্বহাইড্রেট ভ্যাট, প্রোটিন, রিবোফ্লোবিন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস । সবচেয়ে বড় কথা লেবুতে কোন সম্পৃক্ত চর্বি ও কোলেস্টেরল নেই, খুব কম মাত্রার ক্যালোরী আছে । তবে লেবুর প্রধান আকর্ষন ভিটামিন সি।লেবু খেলেই প্রায় ৮৮% ভিটামিন সি চাহিদা পুরন করা সম্ভব। প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভস সাইট্রিক এসিড শরীরকে বিভিন্ন রোগজীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে গড়ে তোলে। এই কারনেই লেবুর এত কদর করোনা মহামারীর আবহে ।
কিন্তু অতিরিক্ত লেবু আমাদের শরীরের জন্য কিছু ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে । অতিরিক্ত লেবু খেলে কি কি ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে দেখে নেওয়া যাক –
১) বুকে জ্বালাঃ অতিরিক্ত লেবু খেলে অ্যাসিডিটি, বুকে জ্বালা ধরা এবং এসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা তৈরি হয়। নিয়মিত লেবু খেয়ে এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হলে, এটি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার পরামর্শই দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
২) কিডনির সমস্যাঃ লেবুর খোসার মধ্যে রয়েছে অক্সালেটেড। যা কিডনি তে ক্রিস্টাল বা পাথর তৈরি করতে পারে। যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে, তাদের লেবু এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শই দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩) দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যায়ঃ অতিরিক্ত লেবু খেলে লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড থেকে দাঁত ক্ষয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়. দাঁতের উপর এক সাদা আস্তরণ পড়ে যায়। সম্প্রতি ব্রাজিলের একটি গবেষণা পত্রে বলা হয়েছে সফ্ট ড্রিংক খেলে দাঁতের যে সমস্যা হয় লেবুর থেকেও ঠিক একই সমস্যা হয়।তবে, যারা প্রতিদিন সকালে উঠে লেবু জল খান তাঁরা দিনে দুবার ব্রাশ করার মাধ্যমে দাঁতের এই সমস্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
৪) পাকস্থলীর আলসারঃ লেবুর অ্যাসিডিক প্রকৃতি পাকস্থলীর আবরণকে ইরিটেট করে। যা থেকে আলসার তৈরি হতে পারে। আলসারের সমস্যা থাকলে তাই লেবু এড়িয়ে চলাই উচিত।
৫) ফোঁড়া বা ফুসকুড়ির সমস্যাঃ দীর্ঘদিন ধরে লেবু খেলে মুখের মধ্যে থাকা নরম কোশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ফলে মুখের মধ্যে ফোঁড়া বা ফুসকুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়।
৬) ঔষধের কার্যকারিতা হ্রাসঃ টক জাতীয় খাবার বিশেষ করে লেবু খেলে হোমিওপ্যাথি ঔষধের কার্যকারিতা কমে যায় । এই কারনে অনেক সময় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা ঔষধ সেবনকালে টক জাতীয় খাবার বিশেষ করে লেবুকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন ।