হেনরি আইল্যান্ড(Henry Island Bakkhali – Picnic Spot Near Kolkata)
নোনা তটভূমিতে জন্মায় ম্যানগ্রোভ অরণ্য। ম্যানগ্রোভ ও সমুদ্রের এক অদ্ভুত মিশেল আমাদের একেবারের পাশের হেনরি আইল্যান্ড। ছোট্ট ছুটিতে আমরা বাঙালীরা সাধারণত বেড়াতে যাই দীঘা বা মন্দারমণি। খুবই মজার জায়গা, কিন্তু বেশ কয়েকবার একই জায়গায় যাওয়ার পর সেটা অনেকটা পানসে হয়ে যায় আমাদের কাছে।
নামখানার হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী পেরিয়ে যাওয়া যায় হেনরি আইল্যান্ডে। হেনরি আইল্যান্ডে আপনি পাবেন বাদাবন আর অজস্র ঝাউগাছের পাশাপাশি বিশাল বালুকাবেলা। অনেকটা কোলাহলমুক্ত, নির্জন সৈকতভূমিতে আছে ‘নজর মিনার’। একটু কষ্ট করে নজর মিনারে উঠলে দেখতে পাওয়া যাবে প্রকৃতির বিপুল সবুজের সমারোহ। নানা শেডের ম্যানগ্রোভ অরন্যে আপনি দেখতে পাবেন হেতাল, সুন্দরী, গরান, গেঁওয়া’র অফুরন্ত সম্ভার। সবুজের এই বাহার ছাড়িয়ে চোখ চলে যাবে বঙ্গোপসাগরের সুবিশাল বিস্তারে। ইচ্ছা থাকলে ম্যানগ্রোভের সবুজ রাজত্ব ছাড়িয়ে চলে আসুন নির্জন বেলাভূমিতে। এখানকার বেলাভূমির রঙ কালচে সাদা, যা দখল করে আছে অগুনতি ছোট-বড়ো রক্তবর্ণ লালকাঁকড়ার দল। এছাড়াও অনতিদূরে দেখা যায় বেশ কিছু ছোট-বড়ো দ্বীপভূমি। ছোট্ট ছুটির অবসরে সুন্দরবনের হেনরি আইল্যান্ড এককথায় অনবদ্য। প্রকৃতিপ্রেমী, ভ্রমণপিপাসু বাঙালী’র কাছে আশা করি ভালোই উপভোগ্য হবে স্থান’টি।(Henry Island Bakkhali – Picnic Spot Near Kolkata)
কীভাবে যাওয়া যাবে
হেনরি আইল্যান্ডে দুই ভাবে যাওয়া যায়- বাসে এবং ট্রেনে।
ধর্মতলা থেকে বাসে করে হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী। নদী পেরিয়ে বাসস্ট্যান্ড থেকে কিংবা বকখালি থেকে ট্রেকারে মাত্র ৩-৪ কিলোমিটার দূরে হেনরি আইল্যান্ড।
ট্রেনে শিয়ালদহ থেকে নামখানা, সেখান থেকে ট্রেকার পাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন
সত্যি কথা বলতে, এই স্থানে প্রচুর থাকার জায়গা’র সংস্থান নেই। আপনি চাইলে বকখালি’তেই থাকতে পারেন।
অথবা, এখানে আছে ‘স্টেট ফিশারি ডেভেলপমেন্ট’ এর অধীনস্থ রিসোর্ট। সেখানে থাকতে হলে অবশ্যই আগে থেকে অনলাইনে বুকিং করে রাখতে হবে।