গঙ্গোত্রী হিমবাহ স্থাপিত আছে হিমালয়ের গাড়োয়ালে। যেটা অবস্থিত উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায়। এই হিমবাহটির উৎপত্তিস্থল হল চাউখাম্বা শিখর এর উত্তরিয় ঢাল থেকে। এই হিমবাহটি গঙ্গা নদীর প্রধান উৎসস্থল(Ganga River History) এবং হিমালায়ের সবচেয়ে বড় হিমবাহ। এটির আনুমানিক আয়তন হল  27 কিউবিক কিলোমিটার। এই হিমবাহটি অবস্থান করছে 30043’22”- 30055’49” (latitude) এবং 79o4’41”- 79o16’34” (longitude). এর উচ্চতা 4120-7000 m.a.s.I. গঙ্গোত্রী হিমবাহের বরফাবৃত স্থানের পরিমান হল 200Km2 এবং বরফের ঘনত্ব প্রায় 20 Km2. হিমবাহটি 30 km  লম্বা এবং 2-4 km চওড়া । এটি গঙ্গোত্রীর  রাজকীয় শিখর দ্বারা  আবৃত।  Ganga River History

 

এই হিমবাহটি কয়েকটি অন্যান্য হিমবাহের সংযোগে গঠিত যেটা একটি বিশাল বরফের একটি ভর গঠন করে। এটি ভৃগুপথ (6772 m), সুমেরু পর্বত (6380 m), কীর্তি স্তম্ভ (6285 m) পরপর এবং রাতাভানা বাঁক, চতুরাঙ্গি বাঁক এবং পরম বাঁক যেগুলি উত্তর পূর্বের শ্রীকৈলাস, মান পর্বত, সাতপন্থ ও একটি নামহীন পর্বতের শিখরের ঢালে অবস্থান করছে।

 

গঙ্গোত্রী হিন্দুদের একটি তীর্থযাত্রা কেন্দ্র। গঙ্গোত্রীর বরফের ন্যায় ঠাণ্ডা জলে স্নান করাকে পবিত্র বলে মনে করা হয়।গঙ্গোত্রী যার শেষ প্রান্ত হল গোমুখ যার অর্থ হল গরুর মুখ। এটি গঙ্গোত্রী থেকে প্রায় ১৯ কিমি দূরে অবস্থিত। এটি ভাগীরথী নদীর সুনির্দিষ্ট উৎস। গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে গোমুখ পর্যন্ত ভ্রমনের পথে নেগেদ, দেওগড়, চীরবাসা রাস্তা পড়বে।

কীভাবে পৌঁছবেন?

 

গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে সহজে পৌঁছানো যায় কারণ এটি গঙ্গোত্রী মন্দির পর্যন্ত মোটরগাড়ি রাস্তার সাথে যুক্ত। সেখান থেক ১৭ কিমি দীর্ঘ পথ আপনাকে ভাগীরথী নদীর ডান তীর থেকে গোমুখ পর্যন্ত নিয়ে যাবে।

  

Payel Kumar is a News Writer at BongDunia. She has a little knowledge about journalism. She has worked with various news agencies in the previous years. She has done her graduation from West Bengal State University.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.