বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা উচ্ছেদের পর কাশ্মীরে কোনো গুলি চলেনি, হয়নি কোনো খুন। কাশ্মীর যেন শান্তির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। গুজরাটের এক জনসভা থেকে এমনই দাবি করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।কিন্তু শান্তি হয়ত ফিরেছে কাশ্মীরে, তবে অর্থনীতি বা সেখানকার মানুষদের জীবন যাপন নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে ।
প্রায় চার মাস হতে চলল, কাশ্মীরের বিশেষ সুযোগ সুবিধাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তিকরণের মাধ্যমে । সেখানে এখন ঘরে ঘরে সন্ত্রাসবাদীর জন্ম হচ্ছে না । তবে কাশ্মীর উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। পরিসংখ্যান বলছে, ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির পর গত চার মাসে অন্তত ১৭,৮৭৮ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
জম্বু-কাশ্মীরের অর্থনীতি নির্ভর করে মুলত পর্যটন শিল্পের উপর । ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করণের পর, এই উপত্যকায় প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পর্যটন শিল্প । তবে অন্যান্য দিকেও যে ক্ষতি হয়নি তা নয় । ৩৭০ ধারার বিলুপ্ত হবার পর অনেক সংস্থা অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে । নিরাপত্তার কারনে কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সেখানকার তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর অধিকাংশ সংস্থা বন্ধ হবার পথে ।
অর্থনৈতিক দিক থেকে মানুষের জীবনযাত্রার মান খুব নিম্ন মানে এসে ঠেকেছে । বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন, বিভিন্ন সংস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং প্রধান রোজগারের উৎস পর্যটন শিল্প প্রায় বন্ধ হবার ফলে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে । উপত্যকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরতে অনেক সময়ের ব্যাপার, এবং সামাল দিতে সময় লাগবে।