বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: নুসরাতের দুর্গাপুজা পালন নিয়ে বিতর্কের অবসান হচ্ছেই না। ভারতে দুর্গাপুজা নিয়ে এরকম রাজনৈতিক দ্বন্ধ হবে যা কল্পনা করা যায় না। যে দেশে মুসলিম মেয়েকে কুমারী হিসাবে পুজা করা হয় সেখানে নুসরাতকে নিয়ে বিতর্ক। ভারতে ধর্মকে নিয়ে বির্তকের পরিমান এখন বেশী। নুসরাতকে নিয়ে লেখিকা তসলিমা নাসরিন মন্তব্য করতেও দ্বিধা করেননি। উদারপন্থী হিসাবে তিনি নুসরাতের পাশে দাড়িয়েছেন। নুসরাত বৈবাহিক সূত্রে ধর্ম পরিবর্তন না করলেও তার স্বামীর ধর্মের সকল কার্যক্রম পালন করেন। এ নিয়ে দেশের ইসলামিক কট্টরপন্থীরা নূসরাতের উপর ফতোয়া জারি করতে থাকে, হত্যার হুমকি দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামিক জেহাদীরাও সক্রিয় হয়ে গালি গালাজ শুরু করে। নুসরত দুর্গাপুজা করে ইসলামের বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে এই ইস্যুতে কংগ্রেস পার্টিও হাত ধুয়ে মাঠে নেমে পড়ে।
ভারতের অন্যতম রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের ন্যাশনাল সোশ্যাল মিডিয়া কনভেনর হাসান লস্কর লিখেন, ইসলামকে বাঁচাতে হলে নুসরাত জাহানকে মেরে ফেলতে হবে। নুসরাতকে না মারলে ইসলাম ধর্ম সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেন হাসান লস্কর। প্রসঙ্গত এই হাসান এর আগে কাশ্মীর নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করেছিলেন। হাসান লস্কর বলেছিলেন, কাশ্মীর হিন্দুদের জমি হতে পারে না।
পশ্চিম বঙ্গ ধর্মীয় ভ্রাতৃত্বে সবসমই এগিয়ে থাকে তার প্রমাণ শুধু কুমারী পুজা তা নয় এবারই কলকাতায় পরেশ পাল নামের এক তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে দুর্গাপুজা প্যান্ডেলে আজান বাজানো হয়। মা দুর্গার সামনে বাজিয়ে দেওয়া হয় আজান। তবে বিষয়টিও বিতর্ক এড়ায়নি। এখানে বামপন্থী, সেকুলার ও তথাকথিত উদারপন্থীরা খুশিতে মেতে উঠে। একমাত্র হিন্দুত্ববাদীরা ও মা দুর্গার ভক্তরা এই ঘটনার নিন্দা জানায়। কারণ দেবী দুর্গার সামনে আজান বাজানোর অর্থ মা কে অপমান করা। আজানে বলা হয় যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো কিছু ঈশ্বর নেই। মা দুর্গার সামনে আজান বাজানোর অর্থ সরাসরি মা কে অপমান করা।
উল্লেখ্য নুসরাত জাহানের বিয়ের পর এই প্রথম দুর্গা পুজা। তিনি স্বামী নিখিল জৈনকে সঙ্গে নিয়ে দুর্গা পূজামণ্ডপে গিয়ে অষ্টমীর অঞ্জলি দিয়েছেন। একসাথে দু’জনে মিলে ঢাকও বাজিয়েছেন। এটা দেখেই রেগে উঠে দেশের কট্টরপন্থীরা। হিন্দু সাজে সজ্জিত হয়ে মা দুর্গার প্যান্ডেলে পৌঁছেছিলেন নুসরত জাহান।