বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ রোহিঙ্গাদের আশ্রায়নের পাশাপাশি এখন বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় রোহিঙ্গারা নানা অপকৌশলে বাংলাদেশের ভোটার হচ্ছে। তাদের ভোটার হওয়ায় কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে এ ঘটনা ঘটছে।
রোহিঙ্গাদের ভোটার করায় এক শ্রেণীর সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমশিনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এ কাজে অংশ নিচ্ছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান বা জনপ্রতিনিধিরা এ কাজে তাদের সহায়তা করছে। নির্বাচন কমিশনের সূত্রে জানা যায় ভোটার তথ্য সহ চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় থেকে বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ খোয়া যায়। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশন থেকে রোহিঙ্গারা যাতে নাগরিক হতে না পারে এজন্য সকল আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সতর্কতা জারি করেছে।
নির্বাচন কমিশনারের তথ্য মতে তারা কোন কর্মকর্তা কর্মচারীর জড়িত থাকার প্রমান পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। জানা যায় সারা দেশে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শেষ হবে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবন ও রাঙ্গামাটি জেলার ৩২টি উপজেলাকে বিশেষ এলাকা হিসাবে গ্রহণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয় যাতে কোন কৌশলে রোহিঙ্গারা ভোটার না হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে রোহিঙ্গা বসবাসকারী এলাকাগুলোকে বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে, বিশেষ ফরম ও কমিটির মাধ্যমে ভোটার করে আসছে ইসি। বিশেষ কমিটি অনুমোদন না করলে ঐ সব এলাকায় কাউকে ভোটার করা হয় না। তার পরেও প্রতিবারই রোহিঙ্গাদের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তাদের ভোটার করতে মূলত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাই সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রথম যখন ভোটার হালনাগাদ করা হয় সীমান্তবর্তী বিভিন্ন উপজেলার ৫০ হাজার রোহিঙ্গা ভোটারকে শনাক্ত করা হয়। ২০১২ সালেও কয়েকটি এলাকায় রোহিঙ্গা ও অবৈধ নাগরিকের অভিযোগে ১৭ হাজার রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয় কমিশন।
প্রসঙ্গত বাংলাদেশে অবস্থিত ১১ লাখ ২২ হাজার রোহিঙ্গার ফিঙ্গার প্রিন্ট সংবলিত ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। ডাটাবেজের বাইরে অনিবন্ধিত ছড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের শনাক্ত করা কষ্টসাধ্য বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা এক নারী লাকি আটকের পর রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার তথ্য বেরিয়ে আসে।