বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের মিত্র হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তিনি নব্য রাজাকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
শুক্রবার সকালে উত্তরায় এক জনসভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তরের তুরাগ থানা ও উত্তরা পশ্চিম থানার উদ্যোগে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের কাঁচাবাজারে লিফলেট বিতরণ করেন রিজভী।
রিজভী বলেন, “যদিও বাংলাদেশের জনগণ একতরফা ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে, তবুও গতকাল (বৃহস্পতিবার) দেখলাম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, ‘বিএনপি ও তাদের মিত্ররা বাংলাদেশে নির্বাচন বানচাল করছে।’ তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য অবরোধ কার্যকর করার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।’
রিজভী বলেন, ‘জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন রাজাকারে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচন একটি তামাশা ও কারচুপির নির্বাচন। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী ছাড়াও দেশের জনপ্রিয় ৬৩টি রাজনৈতিক দল আমড়া ও মামুরা ধাঁচের নির্বাচন বয়কট করেছে।
বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতা আরও বলেন, ‘অবৈধ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ও তাদের অনুপস্থিতিতে সাজা দিয়ে সারাদেশে ত্রাসের ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। .’ তাদের মেরে ফেল.
বিএনপির প্রায় দুই কোটি নেতা-কর্মী এখন গৃহহীন। এমনকি কারাগারের বাইরেও নেতা-কর্মীদের খুন-নির্যাতন করা হচ্ছে। রিজভী বলেন, ‘এ নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না।
এমন পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবৈধ সরকারের দালালি করছে। জনসাধারণের ভাষণে তিনি মামলায় হাজিরা না দিয়ে সকল প্রকার ভ্যাট-ট্যাক্স, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ স্থগিত ও সরকারের প্রতি অসহযোগিতার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।