সংগৃহীত ছবি


নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এই সময়ে সশস্ত্র বাহিনী কী কী দায়িত্ব পালন করবে তা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গত বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বরাষ্ট্র সচিবের পরিপত্রে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনের বিধান অনুযায়ী এবং ‘বেসামরিক ক্ষমতাকে সহায়তা সংক্রান্ত নির্দেশনা’-এর বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের; রিটার্নিং অফিসারের সাথে পরামর্শক্রমে প্রয়োজন অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী উপজেলা বা থানায় মোতায়েন করা হবে এবং সশস্ত্র বাহিনী অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা প্রদান করবে; প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মহানগর এলাকায় নোডাল পয়েন্ট এবং অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের সাথে সমন্বয় করে টহল ও অন্যান্য অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং ভোটকেন্দ্রের ভিতরে বা বাইরে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখবে। রাখবো. রিটার্নিং অফিসার বা প্রিসাইডিং অফিসারের প্রয়োজন অনুযায়ী গণনা কক্ষের নিরাপত্তার জন্য দায়ী থাকবেন।

এতে আরও বলা হয়, সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এতে আরও বলা হয়, নৌবাহিনী প্রয়োজন অনুযায়ী উপকূলীয় এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে; ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের সাথে আলোচনা করে প্রতিটি জেলায় মোতায়েন সশস্ত্র বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে; পরিস্থিতি অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বা মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং বাহিনীর অনুরোধে বিমান বাহিনী প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান উড্ডয়নে সহায়তা করবে; সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনা অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক স্থাপনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে এবং বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অন্যান্য বিধিবদ্ধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মহানগর এলাকার ভোটকেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৬ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ বাহিনী, মহানগর এলাকার বাইরে সাধারণ ভোটকেন্দ্র এবং পাহাড়ি ও প্রত্যন্ত এলাকায় ১৬ থেকে ১৭ জন গুরুতর (ঝুঁকিপূর্ণ) ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে। বাহিনী মোতায়েন করা হবে। প্রয়োজনে রিটার্নিং অফিসার এই সংখ্যা বাড়াতেও পারেন।

এবারের নির্বাচনে ৫ লাখ ১৬ জন আনসার সদস্য, ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য, ২ হাজার ৩৫০ জন কোস্টগার্ড সদস্য এবং ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তথ্য জানানো হয়েছে।

সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর কতজন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার সম্প্রতি বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ হাজার সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। প্রয়োজনে এ বার আরও মোতায়েন করা যেতে পারে।

Nitya Sundar Jana is one of the Co-Founder and Writer at BongDunia. He has worked with mainstream media for the last 5 years. He has a degree of B.A from the West Bengal State University.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.