আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমবায় সমিতিকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের লক্ষ্য খাদ্য নিরাপত্তা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের মানুষকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করার চেষ্টা চলছে।
আজ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের আওতায় দরিয়াকুল গ্রাম বিকাশ সংঘের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন -অপারেশন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের লক্ষ্য খাদ্য নিরাপত্তা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের মানুষকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে সচেষ্ট হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আজ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দরিয়াকুল গ্রাম বিকাশ সংঘের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের আওতায় সুবিধাবঞ্চিতদের মধ্যে কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দারিদ্র্য দূর করে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। এটাই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। এটি বাস্তবায়নে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। এতে আমার বাড়ি ও খামার সাজানো আছে। এতে খুব গরিব মানুষ মুক্তি পাবে। সমবায় উৎপাদন বৃদ্ধি করে, দারিদ্র্য হ্রাস করে এবং ক্ষুদ্র সঞ্চয় করে। আমরা সারাদেশে সমবায় সমিতির মাধ্যমে জনগণের সহযোগিতায় উৎপাদন বাড়াতে চাই। আমাদের উদ্দেশ্য খাদ্য নিরাপত্তা, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে মানুষের আর্থ-সামাজিক ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।
এক ইঞ্চি জমিও অনুর্বর না রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সারা দেশের মানুষকে নিয়ে উৎপাদন বাড়াতে চাই। তিনি বলেন, দেশকে স্বাবলম্বী করতে চাই। তরুণরা যাতে চাকরির জন্য দৌড়ানি না করে ব্যবসা করতে পারে সেজন্য সরকার গ্যারান্টি ছাড়াই ঋণের ব্যবস্থা করেছে। পেনশন স্কিমে যুক্ত হলে দেশের মানুষকে আর ভাতার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
তিনি বলেন, আরেকটি আধুনিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। আজকের শিশু-কিশোররাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের সৈনিক। জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে সবাইকে দু-তিনটি গাছ লাগাতে হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।
এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে একজনকে একটি ধান মাড়াই মেশিন এবং দুইজনকে দুটি ল্যাপটপ প্রদান করেন। ৩৮ জন শিক্ষার্থীকে ৪০ হাজার টাকা শিক্ষা সহায়তা, ১০ জন শিক্ষার্থীকে ১০টি ভ্যান, ৩০টি সেলাই মেশিন, ৩৮ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে স্কুল ড্রেস, স্কুল ব্যাগ, কলম ও ছাতা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ১০ জনকে ১০টি সাইকেল, ১০ জন কৃষককে বীজ, সার, গাছের চারা ও পুষ্টিকর বাগান সামগ্রী এবং ২০ জোড়ার মধ্যে দুইজনকে ১০ জোড়া কবুতর উপহার দেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেলে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। এরপর সড়কপথে ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সকালে একদিনের সফরে গণভবন থেকে সড়কপথে টুঙ্গিপাড়া যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। পরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। এ সময় ছোট বোন শেখ রেহানা, চাচাতো ভাই শেখ হেলাল, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আল বেইলি ওফিফাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।