উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে দেশের অর্থনীতি কতটা চাঙ্গা হবে এবং স্থানীয় জনগণ কতটা উপকৃত হবে তা বিবেচনা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমাদের প্রথমে ভাবতে হবে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়ার পর এর ফলাফল কী হবে এবং জনগণ কতটা উপকৃত হবে। আমাদের দেশকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে এবং অন্যের উপর নির্ভরতা কমাতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ বিনির্মাণে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কার্যক্রমের রূপরেখা সংক্রান্ত প্রেজেন্টেশন পর্যবেক্ষণকালে একথা বলেন।
রূপরেখা দেখে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়াতে এবং দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি প্রকল্প নেওয়ার সময় দেশের কতটা উন্নয়ন হবে এবং জনগণ কতটা উপকৃত হবে সেটাও ভাবতে হবে। যেভাবে কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন দ্রুত হয়েছে, দেশবাসী তার সুফল পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এক লক্ষ্য নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল জনগণের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, গবেষণার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে আমরা সফলভাবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তার সরকার রূপকল্প 2021 ঘোষণা করেছে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছ থেকে স্বীকৃতি লাভ করে সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে রূপান্তর করা। সেই রূপকল্প বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।