চট্টগ্রাম-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রতি ৫ বছর পর পর নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন না হলে দেশে জটিলতা দেখা যেতে পারে। বিএনপি নির্বাচনে থাকলে ভালো হতো। নির্বাচনী ট্রেনে ওঠার কোনো আগ্রহ নেই তার। নির্বাচনে না এসে তারা আন্দোলনের নামে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার আইয়ুব বিবি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী প্রচারণা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, ‘আমি যখনই, যে কোনো সময় উপস্থিত আছি। আমি আমার দল বা অন্য দলের লোকদের কখনও সমস্যায় ফেলি না। কখনো কোনো অন্যায়কারীকে আশ্রয় দেননি। তোমার জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা ছিল, এখনও আছে। যেকোনো বিপদে পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন না হলে তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব ঘটবে।’ ভোটের ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি, তারা জানে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই, বিএনপি আছে। এর আগেও ক্ষমতায় থেকে লুটপাট হয়েছে। আওয়ামী লীগ যে উন্নয়ন করেছে তা জনগণ মূল্যায়ন করবে। আপনি জানেন আমি অতীতে কি করেছি, আমি কখনই কোন গোষ্ঠীর লোককে কষ্ট দিইনি, আমার বাড়ির দরজা সর্বদা সবার জন্য খোলা ছিল, এখনও তাই আছে। আনোয়ারা-কর্ণফুলীর মানুষের কাছে আমার কোনো দলীয় পরিচয় ছিল না। তুমি আমার নিজের।’
তিনি বলেন, ‘তারেক জিয়া লন্ডন থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। পলাতকরা কিভাবে প্রতিবাদ করবে? বিদ্যুৎ-গ্যাস বিল না দেওয়ায় সংযোগ কেটে দিলে তারেক জিয়া কী করবেন? তিনি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে প্রতিবাদ করছেন নাকি মানুষ হত্যা করে তা আপনিই ঠিক করবেন। ইউক্রেনে করোনা মহামারী ও যুদ্ধের কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। ইনশাআল্লাহ এটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আগামীতে ক্ষমতায় এলে জিনিসপত্রের দাম কমানোর চেষ্টা করব। সরকার সব দিয়েছে- মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিধবা ভাতা, গৃহহীনদের ঘর, এখন দেখছি আপনাদের সরকার কি করবে।
বটতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহেব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য এস এম আলমগীর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল হক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মালেক, গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগ সদস্য রশিদ রেভেল, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হায়দার, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আলী আজগরসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।