আওয়ামী লীগ বিদেশিদের নির্দেশে রাজনীতি করে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদির। তিনি বলেন, ‘আমরা বিদেশিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করি। কিন্তু আমরা কোনো বিদেশীর নির্দেশে রাজনীতি করি না। যারা এ ধরনের কথা বলে তারা তাদের প্রভুদের খুশি করার জন্য এই গুন্ডামি ছড়াচ্ছে।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভার শুরুতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি রাজনৈতিকভাবে চরমভাবে হেরে গেছে। আজ ধীরে ধীরে তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। এজন্য তারা দেশের মানুষকে বিসর্জন দিয়ে বিদেশীদের পথ দিচ্ছেন। এই দলটি দেশের জন্য এমন অবমাননাকর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, যা নিয়ে বিদেশিদের কাছ থেকে অভিযোগ উঠেছে।
ওবায়দুল কাদির বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার চালাচ্ছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদের সকল দায়িত্ব জনগণের প্রতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ়। বাংলাদেশ বিশ্বে একটি মর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। একটি স্বনির্ভর রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের সুনাম সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে অনেক কুখ্যাতি হয়েছে। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও হয়েছে। কেউ কেউ বিদেশে গিয়ে বিতর্কিত বক্তৃতা দিয়েছেন। তারপরও দেশের সাধারণ নির্বাচনের আশঙ্কা যে স্থানীয় নির্বাচনে ৬০ শতাংশ ভোট হয়েছে, তা সত্যি, এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে সংঘাত ও সংকটের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেকে একজন ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে প্রমাণ করেছেন। যদিও অনেকেই এই নির্বাচনের কঠোর সমালোচনা করেছেন, তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন এবং তার সাথে একসাথে কাজ করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এটি আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই সম্পত্তি শেখ হাসিনার নিজের।