সংগৃহীত ছবি


মানসিকতার পরিবর্তন হলে পর্যটনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তিনি বিশ্বাস করেন যে নারীকে নারী ও মানুষ হিসেবে ভাবলে অনেক কিছু বদলে যাবে।

আজ শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘পর্যটন শিল্পে নারীর অংশগ্রহণ: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারপারসন ও সাবেক সিনিয়র সচিব নাছিমা বেগম বলেন, আমি যখন প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে এই চেয়ারে বসেছিলাম, তখন শত শত মানুষ আমাকে দেখতে আসেন।

তারা কি ভেবেছিল নারীদের বিচার করবে? সত্যি কথা হল আমরা যদি ফিরে আসতাম তাহলে এতদূর আসতে পারতাম না। তিনি আরও বলেন, পর্যটন ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে আসবে। সেই দিন বেশি দূরে নয়। অংশগ্রহণ বাড়বে।

আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নারীর প্রতি সহিংসতা। মহিলারা এটা করতে পারেন। অনেকেই ভাবতেন, নারীরা কী করতে পারে। কিন্তু এখন এটা প্রমাণিত হয়েছে যে তারা এটা করতে পারে। আমি একজন নারী, আমি আমার স্থান চাই।

তিনি বলেন, সুপারিশ হচ্ছে এ খাতকে এগিয়ে নিতে বোর্ডকে শক্তিশালী করতে হবে। নারীরা অনেক উন্নতি করবে। নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যাবে, নারীকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করলে তারা এগিয়ে যাবে। এ সময় তিনি তার জীবনের বিভিন্ন সময়ে সরকারি ঘটনার অভিজ্ঞতার ওপর আলোকপাত করেন।

গ্রিন টিভির নির্বাহী সম্পাদক নাদিরা কিরণ বলেন, সব ক্ষেত্রে নারীদের স্থান পাওয়া কঠিন। প্রকৃতপক্ষে, পর্যটনে নারীদের অংশগ্রহণ এখনও বেশি নয়। আপনার সততা বজায় রাখুন এবং দক্ষতার সাথে এগিয়ে যান। সরকারের পক্ষ থেকে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ভাবমূর্তি সংকটের আশঙ্কা করছে সরকার। দেশীয় পর্যটন বাড়ছে। তবে বিদেশি পর্যটক কম। এতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর মাধ্যমেই তা বাড়ানোর প্রচেষ্টা সফল হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, পর্যটনে নারীদের অংশগ্রহণ যত বেশি হবে বিদেশি পর্যটক তত বেশি আসবে। নারীকে নেতা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বিদেশীরা গাইড হিসেবে নারীদের কাছে বেশি নিরাপদ বোধ করবে। তবে বিদেশে নারীরা গাইড হিসেবে ভালো কাজ করছেন। এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নারী উদ্যোক্তা বানানোর কথা ভাবতে হবে। এ ক্ষেত্রে আরও নারীদের সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনে প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে। নারীর মতো নয়, মানুষের মতো কাজ করুন।

অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট আফসিয়া জান্নাত সালেহ বলেন, “মেয়েদের সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।” “এই সেক্টরে এগিয়ে যেতে হলে নেতৃত্বের পর্যায়ে আমাদের আরও নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন।”

অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (এটাবি) সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ বলেন, প্রাথমিকভাবে এ খাতে তিন-চারজন লোক ছিল। কিন্তু এখন আতাবের সদস্য রয়েছে 200। প্রতিটি সংস্থায় মহিলা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য তিনি নারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সন্তোষ কুমার দেব। আরও বক্তব্য রাখেন আইএসসি ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটির পরিচালক মিজ নাফিজ ইসলাম লিপি, ডান অ্যান্ড ব্র্যাডস্ট্রিটের সিইও জারা জাবিন মেহবুব, শেয়ারট্রিপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সাদিয়া হক।

Nitya Sundar Jana is one of the Co-Founder and Writer at BongDunia. He has worked with mainstream media for the last 5 years. He has a degree of B.A from the West Bengal State University.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.