প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সফরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা কেউ বলেনি। কেউ আমাকে এমন কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। 2007 থেকে 2008 পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অভিজ্ঞতা আমাদের ছিল। তারপরও কেউ কি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় বা পারে? আর এই ব্যবস্থা বিএনপিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
আজ বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা বারবার তারিখ দিচ্ছে। এই তারিখে পড়বে, ২৭ তারিখে পড়বে। তাদের ছুটতে দিন, জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি হলে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
আজ বিকেল ৪টায় গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুলিভান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কথা বলেছেন কি না। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগদান শেষে তথ্য দিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, আমরা তাদের আন্দোলন বন্ধ করছি না। তারা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করছে। খুব ভালো জিনিস। যে টাকা চুরি করে অর্জিত হয়েছে এবং যা এতদিন লুটপাট করা হচ্ছিল, তা ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্তত কিছু টাকা জনগণের পকেটে যাচ্ছে।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওয়াশিংটন সফরকালে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের সঙ্গে আসন্ন জাতীয় পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন। আমি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছি।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সবুজ জলবায়ু তহবিলের অর্থায়ন এবং “ক্ষতি ও ক্ষতি” তহবিল বাস্তবায়নে আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।
তিনি আরও বলেন, জেক সুলিভান নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে সরকারের অর্জনের প্রশংসা করেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিনি আবারও বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে দুই দেশ সম্মত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি আশাবাদী যে আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থানকে যেমন শক্তিশালী করেছে, তেমনি এটি বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পরিধি আরও বিস্তৃত করবে। সামগ্রিকভাবে আমি মনে করি এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ খুবই সফল।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে বুধবার দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।