প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশ বা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি ভৌগলিক নির্দেশ বা জিআই পণ্য। এর উদ্দেশ্য হল এই পণ্যগুলিকে তাদের নিজস্ব হিসাবে ‘আবির্ভূত করা’।
আজ গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে নিজের কৌশলগত অবস্থান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি টাঙ্গাইল শাড়িটা মাত্র কয়েকদিন পরলাম এটা দেখানোর জন্য যে এটা আমাদের, এটা আমাদের, তাই অন্য কেউ নিতে পারবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি যে শাড়ি পরেছিলেন তা ফ্রেঞ্চ শিফন (খালিদা জিয়ার বহুল ব্যবহৃত দামি শাড়ি) নয়, সফিপুর আনসার একাডেমি থেকে কেনা তাঁতের শাড়ি। তারা সফিপুর শিফন নামে এই শাড়িটি চালু করেছে।
তিনি বলেন, বুঝতে হবে আমি এদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে আছি। টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িও আমি ব্যবহার করি এবং পেটেন্ট অধিকারের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ‘বাংলা টাঙ্গাইল শাড়ি’ বা ‘বেঙ্গল টাঙ্গাইল শাড়ি’ নামের শাড়িটিকে ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় জিআই স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়। যদিও টাঙ্গাইল বাংলাদেশ অঞ্চল এবং টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য, তবুও প্রশ্ন উঠছে ভারত কীভাবে এটিকে নিজস্ব পণ্য হিসাবে জিআই স্বীকৃতি পাবে?
এরপর বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ এই শাড়ির জিআই স্বীকৃতির উদ্যোগ নেয়। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন টাঙ্গাইলের শাড়ির জিআই স্বীকৃতির জন্য গত ৬ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেছিল। এটি পরবর্তীতে পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর দ্বারা অনুমোদিত এবং গেজেটেড হয়েছিল। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ও সচিব জাকিয়া সুলতানা প্রধানমন্ত্রীর হাতে টাঙ্গাইলের শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা এবং গোপালগঞ্জের রসগুল্লাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ তুলে দেন।