বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ গত দুই বছর ধরে সারা দেশে আধারনম্বরকে সব কিছুর সাথে মান্যতা দেবার কাজ চলছে । ইতি মধ্যে প্যান-আধার লিঙ্ক করার সময় সীমা ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছে । এবার আধার নম্বরের সাথে ভোটার কার্ডের এপিক নম্বরের লিঙ্ক করানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার ।
কেন্দ্রীয় সরকার আধার-ভোটার লিঙ্ক নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিতে চাইলেও সেক্ষেত্রে একটা অসুবিধা রয়েছে । কারন কেন্দ্রীয় সরকার এই দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে দিতে চাইলে ১৯৫১ সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধন করতে হবে। তবে আইন মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে এই বিষয়ে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ।
অবশ্য এই প্রথম যে আধার কার্ডের সাথে ভোটার কার্ডের লিঙ্ক করানো হচ্ছে তা নয় । ২০১৫ সাল থেকেই আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণের কাজ শুরু হয়েছিল । কিন্তু মাঝ পথে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই কাজ বন্ধ রাখা হয় । তবে কেন্দ্র চাইছে সেই অসমাপ্ত কাজ ফের শুরু করতে নির্বাচন কমিশনের হাত ধরে ।
কেন্দ্রীয় সরকারের এবং নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, আধার-ভোটার লিঙ্ক করানো হলে একদিকে যেমন ভোটার তালিকা তৈরিতে সরলীকরণ আসবে, অপর দিকে দেশের ভুয়া ভোটারদের খুব সহজেই চিহ্নিত করা যাবে । এছাড়া যারা নিজেদের ঘর ছেড়ে কাজের সুত্রে বাইরে রয়েছেন তারাও ভোটদান থেকে বঞ্চিত হবেন না । এর আগেই আইন মন্ত্রককে পাঠানো চিঠিতে পরিষ্কার জানানো হয়েছিল যে, নির্বাচন কমিটি ১৯৫০ সালে তৈরি রিপ্রেসেনটেশন অফ দ্য পিপল অ্যাক্ট-এর সংশোধনী চাইছে। তারা জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে নকল এন্ট্রি ও জাল ভোটার সংখ্যা দুই কমানো সম্ভব হবে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন থেকেই তাঁরা আধার কার্ডের সাথে ভোটার কার্ড লিঙ্ক করানোর জরাল দাবী জানিয়ে আসছে । তাদের মতে, আধার-ভোটার লিঙ্ক বাধ্যতামূলক হলে ভোটারদেরই সুবিধা বেশী । একদিকে তাঁরা যেমন প্রতারনার শিকার হবেন না, তেমনি দেশের নাগরিক হিসাবে ভোটদানের মত গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত রাখতে পারবেন ।