বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: “নাহ! বিজ্ঞানে তো ব্যর্থতা বলে কিছু হয় না। সব কিছু থেকেই বিজ্ঞানীরা শেখেন। এমনটাই শিক্ষা দিয়ে গিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ‘মিসাইলম্যান’ ড. এ.পি.জে আব্দুল কালাম।অন্যান্য গবেষণার পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণায় তাঁর অবদান কোন ভারতবাসী কোনদিন অস্বীকার করতে পারবে না ।আব্দুল কালামের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা কে সৃজন দৃপ্ত ভঙ্গিতে তাই বললেন,  “সেই কারনেই তাঁর শিক্ষায় শিক্ষিত ইসরোর বিজ্ঞানীরা তাই হয়তো সাময়িকভাবে হতাশ হয়ে পড়তে পারেন, কিন্তু কোনও মতেই তাঁদের মধ্যে সেই হতাশা দাগ কাটবে না। ফের নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করবেন তাঁরা।”

শুক্রবার গভীর রাতে রাত জাগা বিজ্ঞানীদের সাথে সাথে কোটি কোটি চোখ যখন চেয়েছিল আকাশপানে, ঠিক তখনই ইস রোর বিজ্ঞানীদের সাথে  শেষ সংযোগটুকুও ছিন্ন হয়ে যায় মহাকাশযানের । ইতিহাস সৃষ্টি না করতে পেরে ইসরো কর্তা শিবনের চোখ উপচে পড়ছে জলে, এমন কি  মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়তে দেখা যায় তাঁকে।

ঠিক সেই সময় একজন প্রকৃত দেশনেতার মত পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী ।  ইসরো কর্তার কাঁধে হাত রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জীবনে ওঠা পড়া লেগেই থাকে। যে সাফল্য আপনারা অর্জন করেছেন, তা কম নয়। গোটা দেশ আপনাদের জন্য গর্বিত। আপনারা আবারও দেশকে গর্বিত করবেন, আমি নিশ্চিত।” উপস্থিত স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাও বলেন মোদী। টিপস দেন, কী ভাবে লক্ষ্য পূরণ হবে তাঁদের। যেন কিছুই হয়নি। নিজের স্টেডি আচরণে এমনটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছিলেন, “এই সময়গুলোয় আর একটু সাহসী হতে হবে, আর আমরা সাহসী হবো।” পরে টুইটারে তিনি জানা,

শুধু মাত্র নরেন্দ্র মোদী নন, দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক উৎসাহ মূলক বার্তা আসছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের কাছে । পিছিয়ে নেই অমিত শাহ । তিনি লেখেন –

ভারতের অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন টুইট করে জানিয়েছেন,  চাঁদের দক্ষিণ মেরু অবিযান ভারতের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল, তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই, সাফল্য় আবারও আসবে ।

নরেন্দ্র মোদী ইতিহাসের সাক্ষী হতে ইস রোয় হাজির ছিলেন । সবাইকে অনুরোধ করেছিলেন সবাইকে রাতে ইতিহাসের একজন সাক্ষী হিসাবে থাকার জন্য ।   অনেকের মত রাত জেগে খোঁজ খবর  রেখেছিলেন রাহুল গান্ধী। অপেক্ষা করছিলেন চন্দ্রযান ২-এর চূড়ান্ত খবর পাওয়ার জন্য। সিগন্যাল বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরে টুইট করেন তিনিও। লেখেন, “ইসরোর বিজ্ঞানী দলকে চন্দ্রযান ২ অভিযানের জন্য অভিনন্দন। আপনাদের আবেগ, আপনাদের একান্ত প্রচেষ্টা প্রতিটা দেশবাসীর অনুপ্রেরণা। আপনাদের এই পদক্ষেপকে একেবারেই ব্যর্থ বলে ভাববেন না, এটা ভারতের মহাকাশ চর্চা ক্ষেত্রে আগামী পথ পেরোনোর প্রথম ভিত্তি কেবল।”

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.