বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান নিজদের দেশের সংখ্যালঘুদের উপর কি রকম আচরণ করে সে কথা গোটা বিশ্ব জানে । অথচ সেই পাকিস্তান হঠাৎ করে সংখ্যালঘুদের উপর কতখানি দায়িত্বশীল সেটা বোঝানোর জন্য ন্তুন করে বিশাল টাকা ব্যয় করে হিন্দু মন্দির নির্মাণ করতে চলেছে । উল্লেখ্য এটাই ইসলামাবাদে সরকারীভাবে নির্মিত প্রথম হিন্দু মন্দির । কিন্তু কেন হঠাৎ করে পাক সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল সেটাই অনেকের মাথায় ঢুকছে না ।
জানা গেছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর পাকিস্তান সরকার যে যথেষ্ট দায়িত্ববান তা গোটা বিশ্ববাসীর কাছে প্রমান করার জন্য ইসলামাবাদে তৈরি হতে চলেছে হিন্দু মন্দির। তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ১০ কোটি টাকার কাছাকাছি। পাকিস্তানের সরকারী তথ্য অনুযায়ী এই মন্দির নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।
তথ্য সুত্র থেকে জানা গেছে, ইসলামাবাদে মন্দির তৈরি করার দাবি অনেকদিন ধরে জানিয়ে এসেছেন সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। কিন্তু প্রশাসন দীর্ঘদিন গড়িমসি করার পর এতদিনে তাদের কথা ভেবে মন্দির নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী লাল চাঁদ মাহি টুইট করে জানিয়েছেন, এটি ইসলামাবাদের প্রথম হিন্দু মন্দির । পাকিস্তানের হিন্দু মন্দির অবশ্য আছে এবং সেখানে হিন্দুরা পুজা করতে পারে । কিন্তু সেটি রাওলপিণ্ডিতে অবস্থিত । ইসলামাবাদে এই মন্দির নির্মাণ হলে প্রার্থনা করার জন্য সেখানকার হিন্দুদের পুজা দেওয়ার জন্য আর রাওলপিণ্ডি যেতে হবে না।
স্থানিয় সুত্র থেকে জানা গেছে, ইসলামাবাদে মন্দির নির্মাণ করার জন্য সেখানকার একাধিক হিন্দু সদস্যরাই হাত লাগিয়ে মাটি খুঁড়ে এই মন্দির তৈরি করার কাজ শুরু করেছেন। কিন্ত কেন পাক সরকার আচমকা এত দিন পরে হিন্দু মন্দির নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিল ? জানা গেছে সেখানে ক্রমেই হিন্দুদের সংখ্যা বাড়ার ফলে অনেকেই এই মন্দিরের দাবি জানাচ্ছিলেন।অবশেষে প্রশাসনের তরফে এই অনুমতি মেলাতে খুশি সেখানকার সংখ্যা লঘু হিন্দুরা। শুধু মন্দির নয়, পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুদের জন্য আরও একটা সুখবর আছে । জানা গিয়েছে মৃতদেহ দাহ করার জন্য শ্মশান তৈরি করা হবে।