কুরবানী শব্দটি যার অর্থ “কারো নিকটবর্তী হওয়া”। ইসলাম ধর্মীয় মতে কুরবানী হচ্ছে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট ব্যক্তির আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু জবেহ করা। বছর ঘুরে আবার কুরবানী দ্বারপ্রান্তে। আগামি ১২ আগস্ট কুরবানী। বিভিন্ন পশুর বাজারে এখনই জমে উঠেছে। ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম কুরবানীর বাজার। বাগেরহাট জেলায় কুরবানীর এবারের সবচেয়ে বড় গরু লালু ও কালু। এক গোয়াল ঘরে বড় হওয়া বিশালাকৃতির এই দুই গরুর ওজন হবে ৫০ মনের উপরে। ৫ ফুট উচ্চতা ও প্রায়৮ ফুট লম্বা এই গরু দু‘টোয় মাংস হবে ৩২ মন।লালু কালুর মালিক ফেরদাউস আহমেদ সৈকত তার আদরের ধনের দাম হেকেছেন ১০ লক্ষ টাকা।
কুরবানি কিছুদিন বাকি থাকলেও ১০লক্ষ টাকার দুই গরুর কথা ছড়িয়ে পড়েছে জেলার সর্বত্র। হালকা লালছে ও কালোর সংমিশ্রণের চমৎকার চেহারার তিন বছর বয়সী লালু কালুকে দেখতে উৎসুক জনতা ভীড় জমাচ্ছে সৈকতের খামারে। বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের চিন্তারখোড় চিন্তারখোড় গ্রামে ফেরদাউস আহমেদ সৈকতের বাড়ি। বাড়ির সামনে রাস্তার বিপরীত পাশেই সৈকতের গুরুর খামার।
চাষী ফেরদাউস উচ্চ শিক্ষা শেষে যুক্তরাজ্যে চলে যাই। সেখানে ৬ বছর থেকে ২০১৬ সালে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসে মৎস্য খামার ও গরুর ফার্ম শুরু করেন। তার ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে বাগেরহাট সদর উপজেলার শ্রীঘাট এলাকার এক খামারীর কাছ থেকে লালু-কালুকে ক্রয় করেন। খামার পরিচর্যার জন্য আলাদা লোক থাকলেও সার্বক্ষনিক নিজে তদারকি করেন লালু-কালুর।
চাষী ফেরদাউস তার খামারে দেশীয় খাবার খাওয়ান । ভুষি, কুড়া, খৈল, ডালের পানি, কাঁচা ঘাষ, চিটেগুরসহ সকল প্রকার দেশীয় খাবার খেয়ে বড় হয়েছে আমার লালু কালু। মোটা তাজাকরণের জন্য কোন প্রকার কৃত্রিম হরমোন বা খাবার খাওয়ান না লালু কালুকে।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা (ডিএলও) ডা. মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, সৈকতের খামারের গরু দুটো এবছর বাগেরহাট জেলার সব থেকে বড় গরু। এজন্য আমরা গরু দুটোর প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছি। প্রয়োজন অনুযায়ী কৃমি নাশক ঔষধ ও প্রতিশোধক টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে কোন প্রকার মাংস বর্ধক হরমোন বা এ্যান্টিবায়োটিক এ গরুকে পুশ করা হয়নি। সম্পূর্ণ দেশীয় খাবারে পালিত এ গরুর মাংস শতভাগ নিরাপদ। এবারের কোরবানিতে ভাল দামে এই গরু দুটো বিক্রি করে খামারী লাভবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।