ভারত – পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকা, বিশেষ করে কাশ্মীর, যেখানে সারা বছর দুই পক্ষের গোলাগুলি চলতেই থাকে । এমন কোন দিন নেই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে না । এরপর জম্মু-কাশ্মীর উপর থেকে 370 ধারা তুলে নেওয়ায় প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের আতে ঘা লেগেছে । যার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতের সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে বারবার গুলি চালিয়ে আসছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ।
কিন্তু এবার ‘যেমন কুকুর তেমন মুগুর’ নীতিতে চলছে নরেন্দ্র মোদি সরকার । সেনাবাহিনীকে পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য আগাম সবুজ সংকেত দিয়ে রেখেছে ভারত সরকার ।যার ফলে পাকিস্তান থেকে ভারতের দিকে আসা প্রতিটা গুলির যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতের সেনা জওয়ানরা । ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে পুঞ্চ, রাজৌরি সহ একাধিক সেক্টরে একেবারে বিনা প্ররোচনাতে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছিল পাকিস্তান সেনা। পালটা জবাব দিয়েছে ভারতও। ভারতীয় সেনাবাহিনীর জবাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জওয়ান মানজুর আব্বাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের তরফে। ভারতীয় সেনার দাবি, পাকিস্তান লাগাতার সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলিকে টার্গেট করে আসছিল। সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষন চালাচ্ছিল। পালটা জবাবে সীমান্তের ওপারে ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সেনাবাহিনীর তরফে।
সেই মতো শনিবার পাকিস্তানকে আরও একবার কড়া ভাষায় জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতের পালটা জবাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, খতম হয়েছে তিন পাকসেনা জওয়ানকেও। আর তাতেই ঘুম উড়েছে ইসলামাবাদের।এরপরেই পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনার গৌরব আহলুওয়ালিয়াকে তলব করে পাক বিদেশমন্ত্রক। পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ড, মোহম্মদ ফয়সালের তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে ভারতকে পাকিস্তানকে টার্গেট করে শেলিং না করার জন্যে ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনারের কাছে আবেদন জানান।