বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ভারত তার সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে । যার ফলে কাশ্মীরিরা বিশেষ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন । কিন্তু সবচেয়ে বেশী কষ্ট পেয়েছেন মনে হয় পাকিস্তানিরা, বিশেষ করে পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী ইমরান খান । কারন ৩৭০ ধারা বিপুপ্তকরনের পর ইমরান খান বলতে গেলে সারা পৃথিবী চষে বেড়িয়েছেন কাশ্মীরের জনগণের দুঃখের কথা ভেবে । ভারত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরেই শোনা গিয়েছিল পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ঘাঁটি বানিয়েছে জঙ্গিরা । সেন সুত্রে খবর পাওয়া যায়, অন্তত ৫০০ জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে ঢুকে পড়ার চেষ্টায় আছে। এমন কি মাসুদ আজহারকে পর্যন্ত গোপনে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে ।
পাকিস্তানের এহেন কর্ম কাণ্ডে সিদুরে মেঘ দেখছে আমেরিকা । তারা আশঙ্কা করছে, পাকিস্তান যদি সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ন্রন না করতে পারলে অচিরেই, ভারতের উপর হামলা হতে পারে । এই বিষয়টি নিয়ে বুধবার উদ্বেগ প্রকাশ করল আমেরিকা । শুধু আমেরিকা নয়, আরও কয়েকটি দেশ একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে । মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের সহকারী সচিব র্যানডাল শ্রিভার বলেন, “কাশ্মীর নিয়ে ভারতের পদক্ষেপের পরে জঙ্গিরা সেদেশে হামলা করতেই পারে। আমার ধারণা অনেকেই এই সম্ভাবনার কথা ভেবে উদ্বিগ্ন। পাকিস্তানকে চেষ্টা করতে হবে যাতে জঙ্গিদের সংযত করা যায়”।
শ্রিভারকে চীনের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলেবলেন, “আমার মনে হয় চিনও চাইবে না কাশ্মীর নিয়ে সংঘাত শুরু হোক। পরে তিনি বলেন, আমার মনে হয় কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণেই চিন সমর্থন করেছে পাকিস্তানকে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে চিন পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে। কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রপুঞ্জে আলোচনা হবে কিনা, তা নিয়ে একসময় বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। তখন চিন ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। কিন্তু চিন কাশ্মীর ইস্যুতে কূটনৈতিক সমর্থন জানানো ছাড়া আর কোনওভাবে পাকিস্তানকে সাহায্য করবে বলে মনে হয় না।”
চিন বরাবরই পাকিস্তানের পরম বন্ধু রাষ্ট্র । পাকিস্তানের সুখে দুঃখে চিনে পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে চিরকাল । নানা ব্যাপারে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছে চিন । যদিও ভারত থেকে চেষ্টা করা হয়েছে যাতে চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করা যায় । তবে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের পাশে চিনকে দাঁড়াতে দেখা যায়নি ।