বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ প্রথমবার আমফান ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয় । অভিযোগ, যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তারা ক্ষতিপুরন পায়নি । ফলে ফের দ্বিতীয় বারের মত ক্ষতিপূরণের টাকার জন্য দ্বিতীয়বার আবেদন করার সুযোগ দিয়েছিল রাজ্য সরকার । কিন্তু আবেদনের বহর দেখেই চমকে উঠেছে নবান্ন ।
দ্বিতীয় বার ক্ষতিপূরণের টাকা পাবার জন্য আবেদন করার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার । সেই মোতাবেক গত ৬ ও ৭ আগস্ট স্থানীয় জেলাশাসকের অফিসে আবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য করা হয়েছিল। এই দু’দিনেই পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনা, এই ছয় জেলা মিলিয়ে জমা পড়ল ৫ লক্ষ ৭০ হাজার আবেদন। আর এই আবেদনের বহর দেখেই চমকে উঠেছে দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা ।
নবান্নের তরফ থেকে জানা গেছে, মোট ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে আবেদন জমা পড়েছে । এই ৫ লাখ ৭০ হাজার আবেদনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২ লক্ষ ৭ হাজার আবেদন জমা পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এরপরই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় আবেদন জমা পড়েছে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। এই জেলায় আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার। এছাড়াও হাওড়া, হুগলি, কলকাতা পুরসভা এলাকা ও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে। আমফান ঝড়ে এত মানুষের কিভাবে ক্ষতি হয়েছে, আর ক্ষতি হলেও আমফানের এতদিন পর সেটি কিভাবে প্রমান করা হাবে এই নিয়ে ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে ।
সরকারী সুত্রে জানা হাচ্ছে, আমফান ক্ষতিপুরন নিয়ে যে আবেদন জমা পড়েছে এই দুই দিনে, সেই তালিকা আগামী ১৪ আগস্ট বিভিন্ন জেলাশাসকের দফতর, এসডিও অফিস ও মিউনিসিপ্যালিটির অফিসে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। এই আবেদনগুলির মধ্যে বিবেচনা করে দেখা হবে কাদের প্রকৃত ক্ষতি হয়েছে, কিম্বা কারা ক্ষতিপূরণের টাকা পাবার দাবীদার ! সেই ভিত্তিতে চূড়ান্ত তালিকা ১৯ অগাস্ট “এগিয়ে বাংলা” ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। উল্লেখ্য, সরকারের তরফে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য ২০ হাজার টাকা ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য ৫০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তবে এই বিশাল সংখ্যক আবেদন জমা পড়ার পর চোখ কপালে উঠেছে নবান্নের শীর্ষ আধিকারিকদের। ইতিমধ্যেই তাঁরা খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, আমফানে প্রাথমিকভাবে প্রায় ২২ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল। ১৭ লক্ষ ৩০ হাজার আবেদন যোগ্য বিবেচিত হয়। ইতিমধ্যে ১৪ লক্ষ ৮২ হাজার ক্ষতিগ্রস্তের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে। এজন্য খরচ হয়েছে ১ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা।