বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: এক সময় মুকুল রায় ছিলেন মমতা ব্যানার্জির প্রধান সেনাপতি । তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড সুপ্রিমো দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেছেন । একের পর এক ঘটনায় মুকুল রায়ের তীক্ষ্ণ বুদ্ধির কাছে পরাস্ত হচ্ছে শাসক দল । যার ফলাফল সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে প্রতিফলিত হয়েছে । বিজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মুকুল রায় পুত্র শুভ্রাংশু রায়, মাত্র কিছুদিন হল বাবার হাত ধরে তৃণমূল দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন । বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসাধারণের অভাব-অভিযোগ সরাসরি জানানোর সুযোগ করে দিতে “দিদিকে বল” নামে ওয়েবসাইটটি খুলেছিলেন । ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে রাজ্য-এর যেকোনো প্রান্তের যেকোন মানুষ তাদের অভিযোগ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কে করতে পারবে । কিন্তু এটি নিয়েও রাজনীতি তরজা থেমে থাকেনি । মাত্র দুদিন আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ “দিদিকে বল” কে বিদ্রুপ করে বলেছিলেন, “দাদাকে বল” ।
আজ পিতা এবং পুত্র অর্থ মুকুল রায় এবং শুভ্রাংশু রায় “দিদিকে বল” এর বিপরীতে ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন । তারা ক্যাম্পেইন করছেন, “ঘরের ছেলেকে বল” এই কথা বলে । তাদের এই ক্যাম্পেইন বিজপুর এলাকায় মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ।
চলে গেলেন অরুণ জেটলি। শেষ হল জাতীয় রাজনীতির এক অধ্যায়। তিনি ছিলেন ভারতীয় রাজনীতির সেই দলের প্রতিনিধি যাঁরা মেধাকে দেশ পরিচালনায় কাজে লাগিয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক তাঁর জীবনের কিছু কম জানা অধ্যায়।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের রাজনৈতিক ঘাটতি পূরণ করতে ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে এসেছেন রাজ্যে । অভিজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই নিয়ে দলীয় কর্মসূচী ঠিক করছে শাসক দল। তার পরামর্শেই রাজ্যজুড়ে “দিদিকে বলো” -ক্যাম্পেন করছে ঘাসফুল শিবির। “দিদিকে বলো” এর পাল্টা হিসেবে কদিন আগেই রাজ্য বিজেপি জানিয়েছে তারা “দাদাকে বলুন” কর্মসূচি শুরু করছে। যেখানে চা খেতে খেতে সরাসরি সুখ দুঃখের কথা ভাগ করে নেবেন তাদের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তৃণমূলের দলনেত্রী দিদিকে বল এর মাধ্যমে যে জনসংযোগ মুলক পরিকল্পনা করেছে সেদিকে এবার অনুসরণ করতে চলেছেন মুকুল রায় এবং শুভ্রাংশু রায় । পিতা এবং পুত্র হোডিং দিয়ে সারা বিশ্বের এলাকা ছড়িয়ে দিয়েছে তাদের “ঘরের ছেলেকে বলো” নামে জনসংযোগ মূলক স্লোগান । “ঘরের ছেলেকে বলো” যে হোর্ডিং বীজপুরে ছেয়ে গিয়েছে সেখানে বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের নিজস্ব মোবাইল নম্বর ৯০৫১৩৭৭০৬৮ ও একটি মেল আইডিও দেওয়া হয়েছে। পোস্টারের পাশাপাশি এলাকায় বিলি করা হচ্ছে বিধায়কের নম্বর ও মেল আইডি দেওয়া একটি ভিজিটিং কার্ড। । সেখানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা আছে এলাকার যে কেউ যেকোনো সময় উক্ত মেইল আইডি অথবা ফোন নম্বরে সরাসরি তাদের অভাব অভিযোগের কথা ঘরে ছেলেকে জানাতে পারবেন