পাকিস্তানের ভিতরের খবর তেমন একটা সংবাদপত্রে আসে না । এমনকি সংবাদ মাধ্যমেও বিশেষ জানা যায় না কোন খবর । তবে একথা অনুমান করে নেওয়া যায়, পাকিস্থানে দিন দিন সংখ্যালঘুর হার কমে আসছে ।
পাকিস্তানের হিন্দু মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তকরণ করার প্রতিবাদে পথে নামছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মহিলা সংগঠন । এমন কি তারা তাদের এই আন্দোলনকে, আন্তর্জাতিক স্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা পর্যন্ত করে ফেলেছে । পরিসংখ্যান দেখলে জানা যায়, পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার 1.85 শতাংশ হিন্দু । এই সমস্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা বেশিরভাগ বাস করে সিন্ধু প্রদেশ-এ । সামান্য কিছু হিন্দু বাস করে পাঞ্জাবে এবং বালুচিস্তানে । এছাড়াও খাইবার পাখতুনখোয়া এবং ইসলামাবাদে বাস করেন গুটিকয়েক সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবার ।
পাকিস্তানের যে সমস্ত হিন্দুরা বাস করেন, তাদের মূল ভাষা সিন্ধি । অল্প কিছু অংশ অবশ্য পাঞ্জাবিতে কথা বলেন । কিন্তু বর্তমানে সারা পাকিস্তান জুড়ে একের পর এক হিন্দু নাবালিকাকে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে, এমনই রিপোর্ট পাওয়া গেছে । পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের আদালতে একের পর এক মামলা দায়ের হচ্ছে করছে হিন্দু পরিবারগুলি । এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর, সারা দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে । কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পাকিস্তানে হিন্দু সংগঠনগুলি ।
পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি হিন্দু বাস করে সিন্ধু প্রদেশে । পাকিস্তানে হিন্দু সংগঠনগুলি বলছে, পাকিস্তানে হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে । এই ধর্মান্তরিত করার পদ্ধতি পাকিস্তানের সব জায়গায় এক । প্রায় সব ক্ষেত্রেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে হিন্দু নাবালিকাদের । ফলে পাকিস্তানে বসবাসরত সংখ্যালঘু হিন্দুদের মধ্যে প্রবল ভীতির সঞ্চার হচ্ছে । তারা মনে করছেন, এটা পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা কমানোর একটা সুপরিকল্পিত পদ্ধতি ।
এই ঘটনার প্রতিবাদ করে রাস্তায় নামতে চলেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের মহিলা সংগঠন । এই প্রসঙ্গ তুলে সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গোটা বিশ্বের সামনে পাকিস্তানে হিন্দু নারীদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে তার প্রতিকার চাওয়া হবে । ভবিষ্যতে যাতে তাদের ধর্মান্তকরণ বা অন্যান্য অত্যাচারের শিকার না হতে হয়, তারা যাতে স্বাধীনভাবে নিজেদের ধর্মাচরণ করতে পারেন, সে বিষয়ে সকলকে জানানোই হবে তাদের মূল প্রচেষ্টা ।