বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে জয়েন্ট এবং নিট পরীক্ষা করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন, এবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও  জয়েন্ট ও নিট পরীক্ষা স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ককে চিঠি লিখলেন । জানালেন, এই করোনা সংক্রমণের মধ্যে এত বড় পরীক্ষা সারা দেশের জন্য ঝুঁকি।

অনলাইনে জয়েন্ট এবং নিট পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে । ইতিমধ্যে কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট ডাউনলোড করেছে । এদিকে বেশ কিছু রাজ্য থেকে জয়েন্ট-নিট পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখার পক্ষে সওয়াল করেছে । সাতটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠক করে জয়েন্ট ও নিট পরীক্ষা পিছোনোর দাবি ওঠার একদিন পরেই চিঠি লিখলেন হেমন্ত সোরেন।তিনি জানালেন করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এত বড় পরীক্ষা সারা দেশের জন্য ঝুঁকি । বিশেষ করে  রাজ্যগুলিতে এখনও গণপরিবহণ চলছে না। ফলে পরীক্ষার্থীদের চলাফেরার একটা বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে।

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জয়েন্ট-নিট পরীক্ষার জন্য অনুমতি নেওয়া হলেও  সেই নির্দেশ আরও একবার রিভিউ করার আর্জি জানানো হবে বলেও ঠিক হয় মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে। হেমন্ত সোরেনও ছিলেন সেদিনের বৈঠকে।এর পরেই আলাদা করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে, সে চিঠির কপি টুইটারে আপলোডও করেন হেমন্ত সোরেন। তিনি লিখেছেন, “প্রতিটি পরীক্ষার্থীর জীবনে এ দুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা, তাঁরা এই পরীক্ষায় সবচেয়ে ভাল করার চেষ্টা করেন। তাই এটা খুবই জরুরি, যে পরীক্ষার্থীরা যেন নিরাপদ ভাবে, সুস্থ ভাবে, মানসিক শান্তির সঙ্গে এই পরীক্ষা দিতে পারে।”

চিঠিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী যুক্তি দেখিয়েছেন,  “আমাদের দেশের মানুষ এখন এক বিশাল মহামারীর সঙ্গে লড়াই করছে। কোভিড ১৯ লক্ষ লক্ষ মানুষকে সংক্রামিত করেছে, কয়েক হাজার মৃত্যু ঘটিয়েছে। শারীরিক ভাবে আক্রান্ত হওয়ার বিপদ যেমন আছে, তেমনই দেশজুড়ে অর্থনৈতিক সঙ্কটও প্রবল হয়েছে। এটা সকলের জন্যই মানসিক উদ্বেগের কারণ।”

তাছাড়া এত বড় পরীক্ষার জন্য বড় পরিকাঠামো, পরিষেবা, পরিবহণ সবই দরকার বলে মত হেমন্তর, যা এই সময়ে দেওয়া মুশকিল। “কোভিড সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার জন্য ঝাড়খণ্ড সরকার এখনও গণপরিবহণ শুরু করেনি চালাতে। হোটেল, রেস্তরাঁ খোলার অনুমোদনও নেই। এর ফলে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াত এবং থাকা-খাওয়ার মারাত্মক সমস্যা হবে।”

তবে প্রতি বছরের মত এই বছরও লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী অপেক্ষা করে আছে জয়েন্ট এবং নিট পরীক্ষার জন্য । এই মুহূর্তে যদি পরীক্ষা নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে কোন পরীক্ষার্থীর শরীরে করোনা সংক্রমণ আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব নয় । আর এর ফলে হলের পরীক্ষার্থীদের মত ইনভিজিলেটর আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন। তাঁদের মধ্যে আবার কার কী কোমর্বিডিটি আছে তাও বোঝা সম্ভব নয়। ফলে জীবনের ঝুঁকির প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে ।

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.