বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বিয়ের মরশুমে সরকারের তরফে পাওয়া গেলো দারুণ খবর। বিয়ের পাত্রীকে দশ গ্রাম করে সোনা দেবে আসাম সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রুপশ্রী প্রকল্পের অনুকরণে আসাম সরকারের এই অরুন্ধুতী গোল্ড স্কিম মেয়েদের জন্য নেওয়া সত্যিই একটি বড় পদক্ষেপ।

বর্তমানে মেয়ের বিয়ে দিতে এমনিতেই বাবা মাদের নাভিঃশ্বাস উঠে যায়, তারপর আবার মেয়েকে সোনা গয়না দিতে গেলেতো আর কথাই নেই। কিন্তু ভারতীয় নারীরা সোনা ছাড়া বিয়ের কথা যেনো ভাবতেই পারেনা। তাছাড়া প্রতিদিন যেভাবে সোনার দাম বেড়ে চলেছে তাতে সোনার গয়না কেনা তো দূরের কথা সোনা গয়নার কথা ভাবাটাই হয়ে গেছে বিড়ম্বনা। এমত অবস্থায় আসাম সরকার কন্যাদায়গ্রস্থ পিতাদের সাহায্যার্থে বিবাহযোগ্যা মেয়েদের বিয়েতে দশ গ্রাম করে সোনা দেবার কথা ঘোষণা করেছে। তবে সেইসব পরিবার যাদের মেয়েরা বিবাহযোগ্যা তাদের মানতে হবে কিছু শর্ত। সেগুলো হল-

  • পাত্রীর দশম শ্রেণী অবধি পড়াশুনো জানা আবশ্যিক
  • বিয়ের সময় উভয় পক্ষকে অবশ্যই বিয়েটাকে রেজিস্ট্রেশান করাতে হবে
  • আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল পরিবারের বাৎসরিক আয় পাঁচ লক্ষ টাকার কম হতে হবে।

    এইসব শর্তের সাথে মিল থাকলে তারপর বিয়েটাকে সরকারি ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশান করাতে হবে এবং সরকারের কাছে  রেজিস্ট্রেশান সংক্রান্ত সব নথিপত্র জমা দিতে হবে। তারপর সব নথিপত্র সঠিক প্রমাণিত হলে সরকার বিবাহিত পাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউনটে ৩০ হাজার টাকা জমা করে দেবে। উল্লেখ্য দশ গ্রাম সোনার মূল্য ৩০ হাজার টাকা। সরকারের দেওয়া ব্যাঙ্কের এই টাকা অন্য কাজে যাতে ব্যবহার করা না হয় তাই সেই পরিবারকে সেই টাকা দিয়ে কেনা সোনার গয়নার রিসিট সরকারের কাছে পেশ করতে হবে।

এই প্রকল্পটি মূলত বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে এবং বিয়েটাকে  রেজিস্ট্রেশান করাতে উৎসাহ দিতে চালু করা হয়েছে। কারণ অনেক সময় বিনা রেজিস্ট্রির বিয়ে হলে অনেক ছেলেরা সেই সুযোগটা নেয় এবং দ্বিতীয় বিয়ে করে বসে। কিন্তু প্রথম পাত্রী এবং তার বাড়ির লোক প্রমাণের অভাবে সেই বিশ্বাসঘাতক পাত্র এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ বা আইনত বন্দোবস্ত করতে পারে না। সুতরাং মেয়েদের জন্য এই স্কিমটি আসাম সরকারের একটি উল্লেখ যোগ্য পদক্ষেপ হতে চলেছে। যদিও মনে করা হচ্ছে আসাম সরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রুপশ্রী প্রকল্পকে অনুকরণ করে এই স্কিম চালু করেছে। রুপশ্রী প্রকল্পে সরকার বিবাহযোগ্যা মেয়েদের ব্যাঙ্কে ২৫০০০ টাকা করে দিয়ে থাকে। কিন্তু সেক্ষেত্রে কোনও রকম কোনও শর্ত বা নথিপত্র জমা করতে হয়না।

Suchandra Chakraborty is a news reporter and content writer at BongDunia. She has completed her masters from Calcutta University on Mass Communication. She has worked in mainstream media at India. Currently, she is working with BongDunia.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.