ডেঙ্গু এখন আতঙ্ক। কেউ যদি বলে রাতে একটু জ্বর হয়ে অথবা শরীরটা কেমন লাগছে। ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হবে। দেশের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের তথ্য মধ্যে এ পর্যন্ত ৪৮ হাজার ২২০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত রোগীর তথ্য মোতাবেক। গতকাল ১৫ আগস্ট দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৯২৯ জন।
যে পরিমানে রোগী ভর্তি হচ্ছে তার বড় একটি অংশ সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরছে। এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬৭০ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মোতাবেক। চলতি আগস্ট মাসে সব থেকে বেশি ২৯ হাজার ৮১৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৪০ হলেও যা বেসরকারি হিসাবে দ্বিগুন।
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় এই মুহুর্তে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে। ডেঙ্গু এখন একটি সাধারণ রোগ নয় এটি মহামারী। শুধু মাত্র সরকারি ঘোষণার অভাব। প্রত্যেকটি হাসপাতাল ক্লিনিকে ডেঙ্গুর জন্য আলাদা বিভাগ খোলা হয়েছে। তারপরও যে পরিমান রোগী প্রত্যেকদিন লাইন দিচ্ছে তা সামলানর ক্ষমতা হাসপাতাল বা বেসরকারি ক্লিনিকের নেই। এরই সাথে আছে পরীক্ষার যথাযথ ব্যবস্থা এবং সেবা। ডেঙ্গু ভাইরাস আক্রমনের কোন পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে বা ভাইরাস আক্রমনের পর কি করতে হবে তার তথ্যের অপ্রতুলতা রয়েছে।
সরকার তার বিভিন্ন দপ্তরের সহায়তায় ডেঙ্গু মশা নির্মূলের চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট নয়। ডেঙ্গু মশা নির্মুলের প্রয়োজনীয় ঔষধ স্থানীয় বাজারে সহজলভ্য নয়। মশা নিরোধক যেসকল দ্রব্যাদি পাওয়া যায় তা আসলে কার্যকরী নয়। শহরের পাশাপাশি ডেঙ্গু যখন গ্রামে। ডেঙ্গু তখন একটি আতঙ্ক।