বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ ভারতের সংবিধানে কোথাও লেখা নেই যে রাষ্ট্রভাষা হিন্দি বাধ্যতামূলক। নিজ নিজ অঞ্চলের ভাষা ব্যাবহার করতে পারে। প্রতিটি অঞ্চলের ভাষার একটি ঐতিহ্য আছে। আসলে বি.জে.পি সরকার রাষ্ট্রের কোনো উন্নয়নে আসছে না আর সেইজন্যই ভুলভাল আইন পাশ করছে,। অমিত শাহের এই কথাগুলি বলা উচিত হয় নি বলে আমি মনে করি। এই সরকার সাধারণ মানুষ কে গোলকের মধ্য রাখতে চাইছে। একনায়কতন্ত্র রাজ চালাচ্ছে বর্তমান সরকার। যা খুশি মনে আসছে তাই করছে।
সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারগুলিও খণ্ডন করতে ছাড়ছে না বলে আমি মনে করি।
ভারতে ২৯টি রাজ্য ও ৭টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ভাষাভাষীর ছড়াছড়ি। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় বাংলা ভাষার ব্যবহার বেশি। উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, দিল্লি, রাজস্থানে রয়েছে হিন্দি ভাষার আধিক্য। তামিলনাড়ুতে তামিল, কর্ণাটকে কন্নড়, গুজরাটে গুজরাটি, কেরালায় মালায়লম, অন্ধ্র প্রদেশে তেলেগু, মহারাষ্ট্রে মারাঠি, আসামে অসমিয়া, মণিপুরে মণিপুরী, মিজোরামে মিজো, মেঘালয়ে খাসি ও গাড়ো ভাষার প্রচলন বেশি।
নির্দিষ্ট কোনো ভাষার একচ্ছত্র ব্যবহার নেই ভারতে। উত্তর ভারত ও মধ্য ভারতে যেমন হিন্দি ভাষার প্রচলন বেশি, তেমনি দক্ষিণ ভারতের প্রতিটি রাজ্যের স্ব স্ব আঞ্চলিক ভাষার আধিক্য। তবে সবশেষ জরিপ অনুযায়ী, ভারতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় হিন্দি ভাষা।
আপন আপন ভাষা ব্যাবহার করুন কারো কোনো অসুবিধে থাকতে পারে না বলে মনে করছি।
আমি এন.কে.মণ্ডল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে কে অনেক বেশি ভালোবাসি তাই কখনো চাই না রাষ্ট্রভাষা হিন্দি হোক।
একটি পরামর্শ দিতে পারি সরকারকে যে অতই যদি রাষ্ট্রভাষা করতে চান তবে ইংরেজি করুন আপত্তি নেই এবং আঞ্চলিক ভাষায় গুরুত্ব যতটা আছে সাধারণ মানুষের কাছে তেমনই আঞ্চলিক মানুষের কাছে তাদের ভাষা থাকবে।