বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ আজ সব কিছু নিজের চোখে দেখতে এবং ভারতীয় বীর জওয়ানদের উৎসাহ দিতে লাদাখে পা রাখলেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । লাদাখ ভিজিট নিয়ে আগাম কোন বার্তা ছিল না । ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সাথে চিফ অফ ডিফেন্স বিপিন রাওয়াত এক সাথে লাদাখে পৌঁছানোমাত্র সুর নরম করে ফেলল চীন ।

কোনো আগাম বার্তা না দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর এই লাদাখ ভিজিট চীনকে অনেকটাই চমকে দিয়েছে । প্রধান মন্ত্রীর এই ভিজিটের পরপরই  চিনের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে একটি বিবৃতি। সেখানে চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাদাখ উপস্থিতি অবশ্য উল্লেখ না করেই জানিয়েছেন, এখন কোনোভাবেই উত্তেজনা বৃদ্ধি করা যাবে না। এখন দুই দেশের কূটনৈতিক মহলের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে, কিভাবে উত্তেজনা প্রশমিত কর যায়। তাই আগের থেকে কোনো ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না, যার ফলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।কূটনৈতিক মহল মনে করছে চিনের এই সুর নরমের পিছনে নরেন্দ্র মোদীর কূটনৈতিক চাল কাজ করেছে ।

প্রধান মন্ত্রীর লাদাখ পৌঁছানো এবং সেখানে সেনা জওয়ানদের উদ্দেশ্য করে ভাষণ  চীনের পক্ষে বেশ চমক হিসাবে কাজ করেছে । চীনের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি দেবার পর  কূটনৈতিক মহলের একটাই কথা হঠাত্‍ করে এই বিবৃতি কেন, তাহলে কি চিন এখন পিছিয়ে আসতে চাইছে! এদিকে ইসরায়েলের পর জাপানও লাদাখ সীমান্ত প্রসঙ্গে ভারতকে সমর্থন করেছে । ফলে আরও বেশ কিছুটা চাপের মুখে চীন ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোন আগাম সুচি না দিয়ে চিফ অফ ডিফেন্স বিপিন রাওয়াতকে সাথে করে লাদাখ পৌঁছান । সেখানে সেনা জওয়ানদের সাথে বৈঠক করার পাশাপাশি বিভিন্ন  পরিস্থিতি নিজের চোখে খতিয়ে দেখেছেন। সেখানে ২০ জন জওয়ানের শহীদ হবার ঘটনা নিয়েও শোক প্রকাশ করেছেন তিনি, ও তাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন । কূটনৈতিক মহল মনে করছেন, শুধুমাত্র পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা বা চীনকে চমক দেবার জন্য মোদী লাদাখ গেছেন সেটা কিন্তু শুধু নয়। এটা যে চিনের চোঙ রাঙানীর বার্তা সেটা স্পষ্ট। এতে অনেক কূটনৈতিক স্তর লক্ষ্য করা যাচ্ছে।অন্যদিকে সুত্রের খবর দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মনোবল বেড়েছে সেনাদের।

এদিকে  নয়াদিল্লির কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনের  আসল লক্ষ্য লাদাখের কিছুটা  জমি দখল করা না, তাদের আসল লক্ষ্য ভারতকে চাপে ফেলা। ভারতকে এখন অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক দিক থেকে চাপে ফেলা, যাতে তারা এখন সহজেই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ব্যবসা চালাতে পারে। অন্যদিকে চীনের পরিকল্পনা বানচাল করার জন্য ভারতও একের পর এক পদক্ষেপ নিতে চলেছে । একের পর এক চিনা পণ্য বয়কট করার মধ্যে দিয়ে ইতিমধ্যে নিজেদের কড়া অবস্থান দেখাতে শুরু করেছে ভারত । এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সীমান্তে সফরের ফলে উত্তেজনা যে আরও বৃদ্ধি পাবে সে দিকে নজর রেখে  দুই দেশের মধ্যে এখন কূটনৈতিক আলোচনা চলছে, কোনোভাবেই যাতে ভুল পদক্ষেপ নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি না করা হয় ।

Kajal Paul is one of the Co-Founder and writer at BongDunia. He has previously worked with some publishers and also with some organizations. He has completed Graduation on Political Science from Calcutta University and also has experience in News Media Industry.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.