বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক। ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাত ও চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদন। গত মঙ্গলবার ব্র্যাক সেন্টারে নৈশভোজ অনুষ্ঠানে চেয়ারপারসনের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন।
ব্র্যাকের চেয়ারপারসনের নতুন দায়িত্ব নিচ্ছেন সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকারে উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। স্যার ফজলে হাসান আবেদ চেয়ারপারসনের পদ ছাড়লেও সংস্থার সম্মানসূচক ‘চেয়ার ইমেরিটাস’ পদে থাকছেন। প্রতিষ্ঠানটির কৌশলগত পরিকল্পনার সাথে যুক্ত থাকবেন। এছাড়া বিশ্বব্যাপী ব্র্যাকের প্রভাব কীভাবে শক্তিশালী করা যায় সে জন্য কাজ করবেন।
ব্র্যাক ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল দুই প্রতিষ্ঠানে চেয়ারপারসন ছিলেন ফজলে হাসান আবেদ। বর্তমানে চেয়ারপারস থাকছেন দুইজন। ব্রাক এর নতুন চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল আমিরা হক। চেয়ারপারসনের পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদেও পরিবর্তন আসেছে।
বেসরকারিভাবে অলাভজনক উন্নয়নমূলক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ব্র্যাক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ইং সালে স্যার ফজলে হাসান আবেদ এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলাসহ এশিয়া, আফ্রিকা এবং আমেরিকার ১৩টি দেশে এটির কার্যক্রম রয়েছে। ব্র্যাক এর তথ্য মতে বর্তমানে তাদের প্রতিষ্ঠানে ০১ (এক) লক্ষ এর মত কর্মী কাজ করে থাকেন। বাংলাদেশে অবস্থিত ২০১৬ইং সালের কর্মী সংখ্যা অনুসারে বেসরকারিভাবে এটি বিশ্বের একটি বৃহত্তম উন্নয়নমূলক সংস্থা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে পুনর্গঠন, বিশেষ করে ভারতে আশ্রয় নেয়া বিপুলসংখ্যক মানুষকে স্বাবলম্বী করার প্রয়াসে বাংলাদেশ রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি (ব্র্যাক) নামে ব্র্যাকের কার্যক্রম শুরু হয়। গণশিক্ষা থেকে শুরু করে দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের মতো কাজের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত হয় ব্র্যাকের কার্যক্রম। স্যার ফজলে হাসান আবেদ এর বিদায় ঘোষানার নৈশভোজে বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনুস উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ ও ২০১৭ সালে ফরচুন ম্যাগাজিনের নির্বাচিত ৫০ বিশ্বনেতার মধ্যে ফজলে হাসান আবেদের নাম স্থান পেয়েছিল।
ফজলে হাসান আবেদের জন্ম ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ঐ অঞ্চলের জমিদার।