বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন সংবাদের শিরোনামে ছিল না জঙ্গি সংগঠন বোকো হারেম । ফের আবার তাঁদের নাম সংবাদের শিরোনামে উঠে এল । জানা গেছে, এবার ক্যামেরুনের পাশে সীমান্ত রেখা। চান্দ লেকে জঙ্গি হামলার ফলে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১২ জনের। যাদের অধিকাংশ ছিলেন মৎস্যজীবী । এই জঙ্গি হামলার পিছনে উঠে আসছে ফের বোকো হারেমের নাম ।
উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বোকো হারামের প্রধান ঘাঁটি। মানুষের তৈরি আইন ও আধুনিক বিজ্ঞানকে দলটি অস্বীকার করে। মোহাম্মদ ইউসুফ ২০০১ সালে বোকো হারাম প্রতিষ্ঠা করেন। বোরনো প্রদেশের রাজধানী মাইদুগুরির নিকটবর্তী শহর দাম্বোয়ায় বোকো হারাম প্রতিষ্ঠিত হয়। সেখানে বোকো হারাম শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশ ধারন করে গত ২২ শে ডিসেম্বর তাঁরা জঙ্গি হামলা করে ১২ জনকে হত্যা করলেও এতদিন সেই ঘটনা প্রকাশ্য আসেনি ।
নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর একের পর এক হামলার জন্য দায়ী করা হয় বোকো হারেমকে । দেশটিতে ২০১২ সালে ৬২০ জন ও ২০১১ সালে ৪৫০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যার জন্য জঙ্গি দলটিকে দায়ী করা হয়। বলা হয়, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বোকো হারাম তিন থেকে ১০ হাজার মানুষ হত্যা করেছে। তাদের সঙ্গে একিউআইএমের সম্পর্ক আছে বলে ধারণা করা হয়। বোকো হারাম আল-কায়েদার মতো পশ্চিমা শিক্ষা-সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। আত্মঘাতী বোমা হামলা তাদের প্রধান যুদ্ধপদ্ধতি এবং আল-কায়েদার মতো ‘আদর্শ’ বাস্তবায়নে চরমপন্থী। বোকো হারামের যোদ্ধারা প্রশিক্ষণের জন্য সোমালিয়া যাচ্ছে। কেউ কেউ আফগানিস্তান পর্যন্ত গেছে বলে মনে করা হয়।
গত ২২শে ডিসেম্বর যে জঙ্গি হামলা হয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে বোকো হারাম জঙ্গি গোষ্ঠী এই আক্রমণের পিছনে রয়েছে।
মৃতরা শুধুমাত্র যে ক্যামেরুনের বাসিন্দা এমন নয়। তবে মৃতদের মধ্যে অনেকে সেই সময় মাছ ধরছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ডিসেম্বরেই হামলার জায়গায় একটি তল্লাশি দলকে পাঠানো হয়েছিল। তল্লাশি চালানোর পর তাঁরা রিপোর্ট দেয়, লেকের জলে ভাসমান লাশ দেখতে পেয়েছিল। সেখানকার মেয়র রামাত জানান, চাদিয়ান সেনারা টহল দেওয়া বন্ধ করার পর থেকে এই অঞ্চলটি বোকো হারাম হামলার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে।