বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ শনিবার ভাটপাড়ার শ্যামনগর পাওয়ার হাউস মোড়ে লকডাউন উপেক্ষা করে বিজেপির মিছিলে ফেলা হল পর পর বোমা । মুহূর্তেই মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় । আতঙ্কে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে । ঘটনায় তৃণমূল এবং বিজেপি একে অন্যের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছে ।
রাজ্য জুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে করোনা সংক্রমণের জন্য । একের পর এক এলাকা হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করে প্রশাসন থেকে লক করে দেওয়া হচ্ছে । তার উপর রেশন নিয়ে অভিযোগ কিম্বা আমফান ক্ষতিপুরনের টাকা নয় ছয় কড়া নিয়ে বিক্ষোভ রয়েছেই । এরই মধ্যে ভাটপাড়ার শ্যামনগর পাওয়ার হাউস মোড়ে বিজেপির হাজার দুয়েক কর্মী সমর্থক মিলে মিছিল বের করার প্রস্তুতি শুরু হয় । হঠাত্ পর পর তিনটে বোমা ফাটে। ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় লোকজন। পরে বিজেপি-তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে মারপিট বাধে।
বিজেপির মিছিলে বোমা পড়ার ঘটনায় এক দল অন্য দলের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছে । বিজেপির অভিযোগ, মিছিল বানচাল করতে তৃণমূলই বোমাবাজি করেছে, মারধর করেছে । বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল । তাদের দাবি, নিজেরাই বোমাবাজি করে নাটক করছে বিজেপি।এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা সোমনাথ শ্যামের অভিযোগ, ‘ভাটপাড়ার মানুষ অর্জুন সিংহের সঙ্গে নেই। নিজেরা বোমাবাজি করে নাটক করছে ওরা।” ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ পাল্টা বলেন, ”তৃণমূল লকডাউনে মিছিল করলে আমরাও পাল্টা মিছিল করব।”
উল্লেখ্য, বিধায়ক অর্জুন সিং-এর এলাকা এখন বেশ উত্তপ্ত । দিন কয়েক আগে তৃণমূলের এক যুব নেতা ভাটপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর দিন তৃণমূল ভাটপাড়া আর্যসমাজ মোড়ে একটি মিছিল করে। এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা মিছিল বের করার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল ।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিএসপি অজয় ঠাকুর বলেন, ‘বোমা পড়ার ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। তৃণমূলের এক নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন বলে তারা একটা ছোট মিছিল করেছিল। সেই মিছিলও আটকে দেওয়া হয়েছিল। বিজেপিকেও এ দিন মিছিল করতে বারণ করা হয়েছিল।” এদিকে বোমাবাজি, মারধরের অভিযোগ তুলে বিকেলে নৈহাটি, বাসুদেবপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করে বিজেপি। ভাটপাড়া থানার আগের মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয়।