আলীগড় এ স্টেট ফুড হিসেবে গরম গরম কচুরি খুবই বিখ্যাত । সেখানকার অধিকাংশ মানুষ এই কচুরি খেতে ভালোবাসেন । আর আলিগড় ফুড স্টিট এর বুকে মুকেশ কচুরি ওয়ালা কে চেনেন না, এমন কচুরি প্রেমিক খুব কমই আছে ।
সম্প্রতি আয়কর দপ্তর মুকেশের ছোট্ট কচুরির দোকানে হানা দিয়ে জানতে পেরেছেন, মুকেশ কচুরি বিক্রি করে বার্ষিক প্রায় এক কোটি টাকা ায় করেন । অফিসারদের চোখ তো ছানা বড়া । বেশ কয়েকদিন ধরে মুকেশের কচুরির দোকানে তারা লক্ষ্য করছিলেন । লক্ষ্য করছিলেন কচুরির বিকিকিনি । অবশেষে মুকেশকে চেপে ধরতেই, বেরিয়ে পড়ল আসল সত্য । মুকেশ মোটামুটি হিসাব দিলেন খরচ খরচা বাদ দিয়ে নরমালি বছরে 70 লক্ষ টাকা ইনকাম হয় তার । আয়কর দপ্তরের অফিসার যখন জিজ্ঞাসা করলেন, 40 লাখের উপরে বেচাকেনায় জিএসটি বাধ্যতামূলক, তাই তার নামে জি এস টি আছে কি না ? এবং না থাকলে তিনি কেন তা করেননি ? তার উত্তরে মুকেশ বললেন, চপের দোকানে জিএসটি আবার কি ? আমি তো কোনদিন নামই শুনিনি ।
আয় করলে যে কর দিতে হয়, সেটি তার সম্পূর্ণ অজানা । যাই হোক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ইনকাম ট্যাক্স দপ্তরের অফিসার রা নিয়ে গেছেন । ওই এলাকায় প্রায় 500 থেকে 600 সিঙ্গারা কচুরির দোকান রয়েছে । আয়কর দপ্তর অফিসারদের ধারণা, তাদের ইনকাম বছরে 10 লক্ষ টাকার কম নয় ।