বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বিখ্যাত ঐতিহাসিক গির্জা আয়া সোফিয়া মসজিদে রূপান্তরিত হবার পর কয়েক হাজার মানুষের সাথে ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে আয়া সোফিয়ায় নামাজে উপস্থিত ছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। কিন্তু এবার প্রশ্ন উঠছে আয়া সোফিয়ার সেই বিখ্যাত বিড়াল যার নাম ‘গ্লি’ তার কি হবে, তাই নিয়ে ।
গ্লি আয়া সোফিয়ায় বাস করা একটি বিড়াল ।কিছু কারনে গ্লি বেশ জনপ্রিয় এবং নানা কারণে বিখ্যাতও। আয়া সোফিয়া মিউজিয়াম থাকা কালীন দর্শনার্থীদের প্রিয় হয়ে উঠে ধূসর রঙের শরীর ও সবুজ জ্বলজ্বলে চোখের গ্লি। ২০০৯ সালে এক সফরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিড়ালটির সঙ্গে ছবি তোলেন। গ্লি-র সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজস্ব অ্যাকাউন্ট আছে । সেখানে ফলোয়ার নেহাত কম নয় । এবার আয়া সোফিয়া মসজিদে রূপান্তরের সিদ্ধান্তের পর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক গণমাধ্যমে উঠে আসে গ্লি-র ভবিষ্যত নিয়ে।
জানা গেছে, আয়া সোফিয়ায় গ্লি ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিড়াল আছে । তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, গ্লিসহ যেসব বিড়াল এ জায়গাটিতে আছে, তারা এখানেই থাকবে। তিনি বলেন, এই বিড়ালটি অনেক বিখ্যাত হয়ে গেছে এবং আরো বিড়াল আছে যেগুলো এতটা বিখ্যাত নয়। এই বিড়ালটি তো থাকছেই, অন্য বিড়ালগুলোও আমাদের মসজিদে থাকতে পারবে।
আয়া সোফিয়া তুরস্কের একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন । ৫৩৭ সালে আয়া সোফিয়া নির্মিত হয়। ইস্তাম্বুল বিজয়ের আগ পর্যন্ত ৯১৬ বছর আয়া সোফিয়া গির্জা ছিল। ১৪৫৩ সালের ১ জুন মসজিদে রূপান্তরিত আয়া সোফিয়ায় প্রথমবার জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ১৪৫৩ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বছর মসজিদ ছিল। ১৯৩৪ সালে আয়া সোফিয়াকে জাদুঘর বানানোর জন্য ডিক্রি জারি করে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কামাল আতার্তুকের মন্ত্রিসভা।
গেলো বছর এক নির্বাচনী সভায় জাদুঘর থেকে সোফিয়াকে মসজিদে ফেরানোর ঘোষণা দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। বলেন, আয়া সোফিয়াকে জাদুঘর বানানো মস্তবড় ভুল ছিল। এরপর আদালতের রায়ে ফের আয়া সোফিয়া মসজিদে রূপান্তরিত হয় । ১৯৮৫ সালে জাদুঘর থাকাকালে আয়া সোফিয়াকে বিশ্বঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ইউনেস্কো। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য তুরস্কের সর্বাধিক দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আয়া সোফিয়া অন্যতম।